পাট খাত রক্ষায় ইডিএফের আদলে আলাদা তহবিল গঠনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাট খাত রক্ষায় রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) মতো শতাংশ সুদে ঋণ পেতে আলাদা তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। গতকাল এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন জুট অ্যান্ড জুট প্রডাক্টসের প্রথম সভায় দাবি জানান তারা।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। বাংলাদেশে জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হারুন বিজয় কুমার কেজরিওয়াল এবং মহাসচিব মো. মাহফুজুল হক; কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিন, মো. রবিউল আহসান, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. হাসেন আলি এস আহমেদ মজুমদার।

ব্যবসায়ীরা বলেন, স্বল্পসুদে তহবিল থেকে ঋণ পেলে দেশের পাট খাত ঘুরে দাঁড়াবে। ফলে সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগানো সম্ভব হবে। সময় কাঁচাপাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজেটে আরোপিত শতাংশ উৎসেকর রফতানির বিপরীতে প্রণোদনায় ১০ শতাংশ হারে উৎসেকর প্রত্যাহার, পাটপণ্যে ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া, বেসরকারি পাটকলের ব্যাংকঋণ মওকুফ উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

সভায় মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু শতভাগ রফতানিমুখী পাটপণ্যে কর না চাপানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাট পাটজাত পণ্যের দুরবস্থায় তৃণমূলের বহু মানুষের কর্মসংস্থান আজ হুমকির মুখে। খাতকে বাঁচাতে সরকার থেকে পর্যাপ্ত নীতিসহায়তা দরকার। এজন্য পাট পাটজাত পণ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

মো. আমিন হেলালী বলেন, বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। খাতের উন্নয়নে নীতিসহায়তা পেতে এফবিসিসিআইয়ের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।

মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, পাট একই সঙ্গে শিল্প কৃষিপণ্য হওয়ায় ২০০ ভাগ মূল্য সংযোজন হয় খাতে। শতভাগ রফতানি পণ্য হওয়ার পরও অগ্রিম আয়কর দিতে হয়, যা ক্রেতার ওপর চলে যায়। এসব কারণে পাটপণ্যের দাম বাড়ে। খাতের খরচ কমাতে লো কস্ট ফান্ডিংয়ের আহ্বান জানান তিনি।

মো. আবুল হোসেন বলেন, পাট পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক তন্তু হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু ব্যাংকঋণে উচ্চ সুদ, কাঁচাপাটের চড়া দাম এবং সেই তুলনায় পণ্যের বিক্রয়মূল্য কম হওয়ায় মিল মালিকরা চলতি মূলধনের সংকটে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ খাতের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন