চীনের প্রধান বাজারগুলোয় তামার মজুদ বেড়েছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে লকডাউন শিথিল করা হলেও ধাতুর বাজারে প্রভাব এখনো কাটেনি। লকডাউনের কারণে তামার চাহিদায় ভাটা পড়েছে। কিন্তু উত্তোলন ও সরবরাহ বাড়তি। মূলত এ কারণেই মজুদ বাড়ছে। খবর মেটাল ডটকম।
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, চাহিদায় নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকায় তামার দামও কমছে। ফলে ধাতুটির আমদানি কমিয়েছে শিল্প ও বিগলন প্রতিষ্ঠানগুলো।
তথ্য বলছে, গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চীনের বাজারে ১৩ হাজার ৫০০ টন তামার মজুদ বেড়েছে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ টনে। জুলাইয়ের পরও মজুদ বাড়ে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত বছরের একই সময় মজুদের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ টন। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মজুদ বাড়লেও বছরের ব্যবধানে তা কমেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮০০ টন।
গত সপ্তাহান্তে চীনের সব অঞ্চলেই তামার মজুদ বাড়ে। সাংহাইয়ে মজুদ ৩ হাজার ৪০০ টন বেড়ে ৮১ হাজার টনে, গোয়াংডুতে ৮ হাজার ৪০০ টন বেড়ে ২৪ হাজার ৬০০ টনে, জিয়াংসুতে এক হাজার টন বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টনে, চোংকিংয়ে ৪০০ টন বেড়ে ১ হাজার ৮০০ টনে ও তিয়াংজিংয়ে ৩০০ টন বেড়ে এক হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।
দুর্বল চাহিদার বিপরীতে বাজারে ধাতুটির সরবরাহ বেড়েছে। তার ওপর বাড়তি মজুদের কারণে ধাতুটির দাম অব্যাহত কমেছে। সর্বশেষ কার্যদিবসে ধাতুটির দাম অপরিবর্তিত ছিল। এদিকে দাম নিম্নমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীরা ধাতুটি ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে এনেছেন। তারা দাম বাড়ার অপেক্ষায় আছেন।
লন্ডনভিত্তিক ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান পণ্যবাজার অর্থনীতিবিদ ক্যারোলেইন বেন বলেন, মুদ্রানীতিতে সংকোচন, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ ধাতব পণ্যের চাহিদায় নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি করেছে।
গত মাসে চীনে পরিশোধিত তামা উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১০ হাজার টনে। দুর্বল চাহিদা ও ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদনে ধাতুটির আমদানি স্থিতিশীল। শুল্ক বিভাগের তথ্য জানায়, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে চীন ১৯ লাখ ৪০ হাজার টন তামা আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি মাত্র দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
