কভিড-১৯

তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ বেড়েছে ১৮৩২%

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, চলতি মাসে বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণ হার অনেক বেশি। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের তুলনায় চতুর্থ সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার ১ হাজার ৮৩২ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় সপ্তাহের তুলনায় চতুর্থ সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ৩০০ শতাংশ। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ সাপ্তাহিক হিসাব বলছে, বাংলাদেশে সংক্রমণ হার চলতি মাসে প্রথম সপ্তাহের তুলনায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে বেড়েছে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ সাপ্তাহিক হিসাবও বলছে, বিশ্বে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২২ জুন এই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে (৬ জুন থেকে ১২ জুন) ৪৫৮ জন মানুষের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসে অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। তৃতীয় সপ্তাহে (১৩ জুন থেকে ১৯ জুন) শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ হাজার ২১২ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত বেড়েছে ১ হাজার ৭৫৪ জন। অর্থাৎ সংক্রমণ হার বেড়েছে ৩৮৩ শতাংশ। চতুর্থ সপ্তাহে (২০ জুন থেকে ২৬ জুন) বিগত সপ্তাহের চেয়ে আরো ৬ হাজার ৬৩৪ জন বেড়ে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৪৬ জনে। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩০০ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ৮ হাজার ৩৮৮ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহ তুলনায় চতুর্থ সপ্তাহে সংক্রমণ হার ১ হাজার ৮৩২ শতাংশ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৮৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ করোনার উপসর্গ নিয়ে ১০০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে ১৫ জনের বেশি মানুষ করোনা রোগী বলে শনাক্ত হচ্ছে। করোনায় আজ তিনজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনই দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সবাই ওমিক্রনেই আক্রান্ত হচ্ছে। এর একটি নতুন উপধরনও দেশে শনাক্ত হয়েছে। এই উপধরনে কতজন আক্রান্ত হয়েছে, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, কমপক্ষে সাতজনের নমুনায় এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে। জনস্বাস্থ্যবিদ ও আইইডিসিআরের পরামর্শক মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। যারা টিকা নেননি, এখনো বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের দ্রুত তা নিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে হোটেল-রেস্তোরাঁ, গণপরিবহনে মাস্ক পরার ব্যাপারে জোর দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন