পোশাক শিল্পের অবদান আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত—ফারুক হাসান

পোশাক খাতের মাধ্যমেই রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া অনেক বড় অর্জন। পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি রফতানি বাজার সম্প্রসারণ এবং শিল্পকে একটি টেকসই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে জাতি হিসেবে আমাদের অর্জন এবং গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান এখন আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই। তার বলিষ্ঠ গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহামারী মোকাবেলা করে একটি শক্তিশালী অবস্থানে আসীন হয়েছে। মহামারী চলাকালে তিনি অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছেন, আমাদের প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে শিল্প শ্রমিকের জীবন-জীবিকা সুরক্ষিত রেখেছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। এখন ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার রূপকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছি আমরা। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য আরো শিল্পায়ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার ২০ শতাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সম্পৃক্ত হতে হবে। এটি অসম্ভব নয়, যদি আমরা অর্থনীতির চালিকাশক্তি পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রার পথ সুগম করতে পারি। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম প্রধান খাত পোশাক বস্ত্র শিল্প। সামষ্টিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিল্পের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া বাঞ্ছনীয়।

সভাপতি, বিজিএমইএ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন