মালয়েশিয়ায় ফের পাম অয়েল রফতানি কমেছে। বাজারে চলমান সংকট ও ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলো তুলনামূলক কম দাম ও সহজলভ্য ভোজ্যতেলের ক্রয় বাড়িয়েছে। এ কারণে পণ্যটির চাহিদা কম। এছাড়া জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে মিলগুলো পাম অয়েল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন বাড়িয়েছে। এ বিষয়গুলো রফতানি কমে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইন্দোনেশিয়া রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পর থেকে মালয়েশিয়ার রফতানি বাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
পণ্যবাহী কার্গো তথ্য বলছে, ১-২৫ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ থেকে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিনের ব্যবধানে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। তবে নিম্নমুখী রফতানির কারণে দাম বাড়ার মাত্রা ছিল সীমিত।
গতকাল বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে সেপ্টেম্বর সরবরাহ চুক্তিতে পাম অয়েলের দাম ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৯০ রিঙ্গিত বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৪ রিঙ্গিতে (১ হাজার ৭৯ ডলার ৪৭ সেন্ট)। এর আগের কর্মদিবসে পণ্যটির দাম ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল।