হেডিংলি টেস্ট জিততে আজ পঞ্চম ও শেষ দিন ১১৩
রানের প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। এই রান তুলে নিতে মাত্র ১৫.২ ওভার সময় নিল তারা! ২৯৬ রানের লক্ষ্যে
তারা পৌঁছে গেল ৫৪.২ ওভারে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে তিন টেস্টের সিরিজে সফরকারী
নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বেন স্টোকসের দল।
আজ পঞ্চম ও শেষ দিন বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে
বিলম্ব হয়। খেলা শুরু হলে ওলি পোপকে (৮২) বোল্ড করেন অভিজ্ঞ টিম সাউদি। কিন্তু এরপর পুরোটাই ছিল ইংলিশ-শো। জনি বেয়ারস্টো
সিরিজজুড়ে যে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছেন, শেষবেলায়ও তার ব্যতিক্রম হলো না।
সময়স্বল্পতায় রুট চতুর্থ ইনিংসে আরেকটি
সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি, তিনি ১২৫ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর বেয়ারস্টো ৪৪ বলে ৭১ রানের ঝড়ো
ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে আরেকটি অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন। হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে ১৫৭
বলে ১৬২ রান করেন বেয়ারস্টোর। আর ট্রেন্ট ব্রিজে চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ৯২ বলে ১৩৬
রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে জেতান ইংল্যান্ডকে।
উভয় ইনিংসেই ৫টি করে উইকেট নেয়া স্পিনার
জ্যাক লিচ হয়েছেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। আর ৯৯ গড়ে ৩৯৬ রান তোলা জো রুট হয়েছেন
সিরিজসেরা খেলোয়াড়। তবে সিরিজসেরা হতে পারতেন বেয়ারস্টোও। তিনি ৭৮ গড়ে ৩৯৪ রান
করেছেন।
উল্লেখ্য,
২০১৮-১৯ সালের পর এই প্রথম কোনো দলকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে সমর্থ
হলো ইংল্যান্ড। সর্বশেষ তারা শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠল
ইংলিশরা। অ্যাশেজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও টেস্ট সিরিজ হেরে
বসে ইংলিশরা। সেই ব্যর্থতায় নেতৃত্ব হারান রুট। তার জায়গায় আসা বেন স্টোকসের
নেতৃত্বে প্রথম সিরিজেই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল ইংল্যান্ড। আর নির্ভার রুটও
পৌঁছে গেলেন ফর্মের তুঙ্গে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড:
৩২৯ ও ৩২৬। ইংল্যান্ড: ৩৬০ ও ২৯৬/৩ (রুট ৮০*, বেয়ারস্টো ৭১*; সাউদি ১/৬৮)। ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: ইংল্যান্ড ৩-০তে জয়ী। ম্যাচসেরা: জ্যাক লিচ (ইংল্যান্ড)। সিরিজসেরা: জো রুট (ইংল্যান্ড)।