১৫তম এজিএম অনুষ্ঠিত

৩০০ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে জনতা ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বড় কয়েকটি ঋণ নিয়ে চাপে ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। পরপর তিন বছর রাষ্ট্রায়ত্ত দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংকটির নিট মুনাফা নেমে এসেছিল মাত্র ২৫ কোটি টাকার নিচে। তবে ২০২১ সালে জনতা ব্যাংকের মুনাফা পরিস্থিতি পাল্টেছে। গত বছর হাজার কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে ব্যাংকটি। মুনাফা থেকে ৩০০ কোটি টাকা নিট মুনাফায় নিতে পেরেছে জনতা ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গতকাল জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২১ সালের এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক . এসএম মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমডি সিইও মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ। সভায় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ, জনতা ব্যাংকের পরিচালক অজিত কুমার পাল, কেএম সামছুল আলম, মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মো. আব্দুল মজিদ, রুবীনা আমীন মেশকাত আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক মো. হুমায়ূন কবীর অংশ নেন। সময় ব্যাংকটির ডিএমডি মো. আব্দুল জব্বার, শেখ মো. জামিনুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান, মো. কামরুল আহছান এবং সিএফও মো. নুরুল আলম, কোম্পানি সচিব এমএইচএম জাহাঙ্গীরসহ মহাব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।

জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক . এসএম মাহফুজুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জনতা ব্যাংক একসময় উল্টো দিকে হেঁটেছে। কিন্তু গত তিন বছর ব্যাংকের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। কৃতিত্ব আমরা নিতে চাই না। এজন্য আমি ব্যাংকের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দেব। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় উন্নতি ঘটেছে। বড় ঋণে না গিয়ে ক্ষুদ্র মাঝারি খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

২০২১ সালে জনতা ব্যাংকের সামগ্রিক তত্পরতা আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সভায় বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি বলেন, ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আমানতের উচ্চপ্রবৃদ্ধির ফলে গত বছর জনতা ব্যাংক লাখ কোটি টাকার আমানতের গৌরব অর্জন করে। ২০২০ সালে ব্যাংকের ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) ছিল ৬৪ পয়সা। ২০২১ সালে তা ২০ গুণ বেড়ে ১২ টাকা ৯৮ পয়সায় দাঁড়ায়। ঋণ অগ্রিমের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। খেলাপি ঋণের হার ২২ দশমিক ৬৯ থেকে ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে এসেছে। গত বছর খেলাপি ঋণ থেকে ২৮৩ কোটি এবং অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ৮৭ কোটি টাকাসহ মোট ৩৭০ কোটি টাকা নগদ আদায় সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে তদারকি বৃদ্ধি ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় বছর শেষে খেলাপি ঋণ ক্রমান্বয়ে আরো কমে আসবে। ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা ৫১টি থেকে কমে ৩৯টিতে নেমে এসেছে। ২০২১ সালে ভ্যাট আবগারি শুল্ক বাবদ জনতা ব্যাংক সরকারি কোষাগারে মোট ৯০৬ কোটি টাকা জমা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন