প্রথম দিনেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যান চলাচল শুরুর প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুর ওপর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মোটরসাইকেল। এতে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আজ সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সেতু বিভাগ। গতকাল রাতে এক তথ্য বিবরণীতে তথ্য জানানো হয়েছে।

মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, চালুর পর থেকেই পদ্মা সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মোটরসাইকেল চলাচল অনেক বেড়ে গেছে। এরই মধ্যে একটি দুর্ঘটনার খবরও আমরা পেয়েছি। সামগ্রিকভাবে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কতদিন চলবেএমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা এখনো বলা সম্ভব হচ্ছে না।

গতকাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল। এরপর প্রথম ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২০০টি গাড়ি পদ্মা সেতু পারাপার হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, গতকাল সেতুর ওপর দিয়ে যত যানবাহন চলাচল করেছে, তার প্রায় ৬১ শতাংশই ছিল মোটরসাইকেল।

এর মধ্যে রাত ৮টার পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি মোটরসাইকেল। দুর্ঘটনার পর ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সেতুর মাঝের সড়ক বিভাজক বরাবর অচেতন পড়ে রয়েছেন দুই ব্যক্তি। পাশেই দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি দাঁড় করিয়ে রেখেছেন তাদের উদ্ধারে আসা ব্যক্তিরা। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতদের নাম মো. আলমগীর হোসেন (২২) মো. ফজলু (২১) তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জাজিরা থেকে মাওয়ার দিকে আসছিল। মাঝপথে দুর্ঘটনায় পড়ে। বাস বা ট্রাকের মতো কোনো যানবাহনের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের এক প্রকৌশলী পরিচয় গোপন রেখে বণিক বার্তাকে বলেন, সকাল থেকেই সেতুর ওপর বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চলাচল করেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই মোটরসাইকেলে চেপে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছেন। আবার কেউ কেউ টোল প্লাজা এলাকা থেকে ভাড়া করা মোটরসাইকেলে চেপে সেতুতে উঠেছেন। শত শত মোটরসাইকেলের কারণে পদ্মা সেতু দিনভর বিশৃঙ্খল ছিল বলে জানান তিনি।

গতকাল রাত ১০টার দিকে প্রতিবেদন লেখার সময় জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজার সামনে অবস্থান করছিলেন প্রকল্পের আরেক প্রকৌশলী। তিনি জানান, জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজায় হাজার খানেক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব যানবাহনের প্রায় ৯০ শতাংশ মোটরসাইকেল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন