বিগত কয়েক অর্থবছর প্রতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য টাকার অংকে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও মোট জিডিপির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তা দশমিক ৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। মোট বাজেট বৃদ্ধি ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায়ও এ বরাদ্দ কম। অন্যদিকে এ বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একেক ধরনের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা একেক রকম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা জাতীয় সরকারের বরাদ্দের ওপর নির্ভরশীল, নিজস্ব রাজস্ব সংগ্রহ ও সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে, আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ব্যতিরেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট কেন্দ্র করে গতকাল ঢাকার সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বাজেটে স্থানীয় সরকারের জন্য বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গভর্ন্যান্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের চেয়ারপারসন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। জিএএফের সমন্বয়কারী মহসিন আলীর সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ আলোচনা সময়োপযোগী। আমাদের ক্ষমতাকেন্দ্রিক ও আমলাতান্ত্রিক বিন্যাসের অবস্থা বিচার-বিশ্লেষণ করে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনকে সমন্বিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে। ড. খলীকুজ্জমান বলেন, সরকারের দিক থেকে এ বিশ্লেষণ মেনে নিয়ে এগিয়ে গেলে গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে।