বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারতীয় ভিসা চালুর দাবি ব্যবসায়ীদের

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় ভিসা চালু বন্দরের আমদানি-রফতানির সময়সূচি বাড়ানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আমদানিকারকরা। গতকাল দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বার ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাবান্ধা আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, করোনা মহামারী ভয়াবহ রূপ নিলে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা স্বাভাবিক হলেও এখনো ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে ভারত। এতে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী রোগীসহ পর্যটকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ব্যবসায়িক যোগাযোগ সহজ করতেই শিগগিরই বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় ভিসা চালুর দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কুদরতি-খুদা-মিলন। সময় তিনি বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাস ফুলবাড়ী রুটে ভিসা দেয়া শুরু করলে দেশটির সঙ্গে ব্যবসার পাশাপাশি যাতায়াতও শুরু হয়। কিন্তু ২০২০ সালে কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে বিদেশী নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। করোনা সংক্রমণ কমে গেলে চলতি বছরের শুরুর দিকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রুটে ভিসা দেয়া শুরু করে ভারতীয় সরকার। গত মার্চ মাস থেকে সব ধরনের ভিসা দেয়া শুরু করে দেশটি। কিন্তু ভিসায় রুট নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্থলবন্দর বাংলাবান্ধাসংলগ্ন ভারত, নেপাল ভুটানগামী যাত্রীরা।

আমদানিকারকরা জানান, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়েই বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ীসহ পর্যটকরা ভারত, নেপাল ভুটানে যাতায়াত করেন। রুটে ভিসা না দেয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয়সহ দেশের হাজারো মানুষ। করোনার আগে রুটে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নেপাল, ভুটান ভারতের দার্জিলিং, সিকিমসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় যাতায়াত করত। আমদানিকারকরা অবিলম্বে ফুলবাড়ী বন্দর দিয়ে ভিসা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৬টার পরিবর্তে আরো কয়েক ঘণ্টা সময় বাড়ানোর দাবি জানান। সময় বাংলাবান্ধা আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, পঞ্চগড় চেম্বার সভাপতি শরিফ হোসেন, সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখসহ আমদানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন