আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুটেরাদের কাছে চলে গিয়েছে: ফিরোজ রশীদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুটেরাদের কাছে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। অর্থমন্ত্রী ধনীদের চেহারা সামনে রেখে বাজেট প্রণয়ন করেছেন বলেও অভিযোগ তার।
  
আজ রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ফিরোজ রশীদ এসব অভিযোগ করেন। 

ফিরোজ রশীদ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুটেরাদের কাছে চলে গিয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবাধ লুটপাট চলছে। যেন দেখার কেউ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ডিভিশন নীরব, নিশ্চুপ। কোনোভাবেই লুটপাট থামানো যাচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন পিকে হালদার হাজার কোটি টাকা লুট করে কীভাবে বিদেশে চলে গেল? এটি একদিনে হয়নি। পিকে হালদার ৬ জন বান্ধবীকে নিয়ে ১৩৩বার বিদেশে ভ্রমণ করেছে।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে টাকা নেন। টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে নাা।
জাপার এই সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, লুটেরাদের আড়াল করার জন্য গণতদন্ত কমিশন নামে যাদের কোনো ভিত্তি নেই, তারা ২২০০ পৃষ্টার প্রতিবেদন দিয়েছেন। দুই বছর তারা সারা দেশে ঘুরেছে। এই টাকা তারা কোথায় পেল।

কর দিয়ে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব সমর্থন করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, টাকা যা পচার হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এই প্রস্তাব অনৈতিক হলেও তিনি সমর্থন করেন। তিনি ৭ শতাংশের বদলে ১২ শতাংশ কর দেওয়া এবং সে টাকা দেশে বিনিয়োগ করবে এই বিনিয়োগ করার মুচলেকা দিয়ে এই সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, পদ্মা সেতু কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। এ সেতু জাতির গর্ব, অংহকারের বিষয়। বিশ্বে এ সেতু বাংলাদেশের আর্থিক শক্তি, সক্ষমতার বার্তা পৌছে দিয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য এ সেতু করা হয়নি। জনগণের স্বার্থে তিন কোটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী এ সেতু উপহার দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন