সেন্ট লুসিয়া টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রান করা বাংলাদেশ শনিবার দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের চারটি উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ সাফল্য দেখায়। যদিও এরপর খেলাটা নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটে দুটি বড় পার্টনারশিপ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চালকের আসনে বসিয়েছে। এই দুটি পার্টনারশিপের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন কাইল মায়ার্স। জারমেইন ব্ল্যাকউইডকে নিয়ে ১১৬ রান ও জসুয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৯২ রানের হার না মানা পার্টনারশিপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৬ রানের লিড এনে দেন তিনি। এই মায়ার্স আর জসুয়াকে থামানোই এখন সাকিব আল হাসানের দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
শনিবার বিনা উইকেটে ১০০ রানে পৌঁছে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরের ৩২ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট। শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। যদিও এরপর মায়ার্সের ব্যাটে ফের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে স্বাগতিকরা। দলের সংগ্রহ এখন ৩৪০/৫।
মায়ার্স দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে রেখেছেন সবচেয়ে বেশি। ১৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা এই ব্যাটার ১৮০ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ইনিংসটি তিনি সাজান ১৫টি চার ও দুটি ছক্কায়। ১০৬ বলে ২৬ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জসুয়া দ্য সিলভা।
১৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটা মায়ার্সের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিটিও তিনি করেন বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং তা রীতিমতো ডাবল সেঞ্চুরি। গত বছর চট্টগ্রামে নিজের অভিষেক টেস্টে ২১০ রানের রাজসিক ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জেতান তিনি, তাও ৩৯৫ রানের কঠিন এক লক্ষ্য তাড়া করার সময় এমন ইনিংস খেলেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার।
এর আগে লিটন কুমার দাসের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ২৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। এছাড়া তামিম ইকবাল ৪৬, নাজমুল হোসেন শান্ত ২৬, শরিফুল ২৬ ও এনামুল হক বিজয় ২৩ রান করেন। শুক্রবার প্রথম দিন বাংলাদেশ ১৯১ রানে ৮ উইকেট হারানোর নবম উইকেটে এবাদত হোসেনকে নিয়ে ৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের সংগ্রহটা দুশ পার হতে সাহায্য করেন শরিফুল। তিনি শেষ দিকে মাত্র ১৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৬ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলেন। ২১ রানে অপরাজিত থাকেন এবাদত।