পদ্মা সেতু একটি সংকল্পের প্রতীক : চীনা রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের সামগ্রিক পরিকল্পনা দেখছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ছবি : সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। আজ শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ অভিনন্দন জানান। 

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আগামীকাল একটি মহৎ দিন!  বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, আর এক দশকের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে! এ পর্যায়ে, আমি এই অসামান্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই!’

‘আজ আমার কাছে রয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এই ক্ষুদ্রাকৃতির পদ্মা সেতু। সেতুটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী কোম্পানি চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ বা এমবিইসি এটিকে আমার কাছে একটি স্মারক হিসেবে পাঠিয়েছে। সেতুটি আমার কাছে সাহসের একটি প্রতীক। স্বল্পোন্নত দেশ বাংলাদেশ এমন সেতু নির্মাণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের স্বপ্ন অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ, সেতুটি শুধু বাস্তবায়নই হয়নি, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এর শতভাগ নির্মিত হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, যদি সাহসের কোন সীমা না থাকে, তবে আকাশ তার সীমা।’

লি জিমিং আরো বলেন, ‘পদ্মা সেতু একটি সংকল্পের প্রতীক। সেতুটি নির্মাণে সময় লেগেছে আট বছর; শক্তিশালী পদ্মার স্রোতধারার উপর এর অবয়ব একটি গল্প বলছে যে কীভাবে মানব প্রকৌশল প্রকৃতির শক্তিকে জয় করেছে। নদী হয়তো হাজার বছর ধরে বহমান, কিন্তু এর চেয়ে বেশি টেকসই হল সেই মানুষদের অধ্যবসায় যারা একদম শূন্য থেকে সেতুটি তৈরি করেছে।’

‘পদ্মা সেতু সমৃদ্ধিরও প্রতীক। বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে সেতুটি বাংলাদেশের জিডিপি ১.৫% বৃদ্ধি করতে পারে এবং বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে উপকৃত করতে পারে। এটি কেবল এ দেশ এবং অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে না, বরং অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং একটি সমন্বিত ভবিষ্যতের পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মানুষকে হৃদয় দিয়ে সংযুক্ত করবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন