সংসদে খাদ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের কাছে গম বিক্রি করতে চায় রাশিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়া দুই লাখ টন গম কেনার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশকে। গতকাল জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তরে কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

স্পিকার . শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের সঙ্গে গম আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গম আমদানির জন্য বিভিন্ন রফতানিকারক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রাশিয়া দুই লাখ টন গম রফতানির প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া ভারত থেকে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে গম আমদানির লক্ষ্যে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক খাদ্যশস্যের (চাল গম) মোট উৎপাদন ৩৮৬ দশমিক ৯৩ লাখ টন (চাল ৩৭৬ দশমিক শূন্য লাখ টন গম ১০ দশমিক ৮৫ লাখ টন) চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাক্কলিত খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের পরিমাণ ৪০১ দশমিক ৩৬ লাখ টন (চাল ৩৮৯ দশমিক ১০ লাখ টন এবং গম ১২ দশমিক ২৬ লাখ টন) বিবিএস কর্তৃক পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে অনুসারে, মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৮৭ গ্রাম (চাল ৩৬৭ দশমিক গ্রাম এবং গম ১৯ দশমিক গ্রাম।)

একই প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৩০ (প্রাক্কলিত) মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ছিল ২৩৯ দশমিক ১৪ লাখ টন (চাল ২২৬ দশমিক ৯০ লাখ টন এবং গম ১২ দশমিক ২৪ লাখ টন), যা মোট উৎপাদনের তুলনায় কম। আবার দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দশমিক ৩৭ বিবেচনায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৭১ দশমিক ৫৩ (প্রাক্কলিত) মিলিয়ন। সে হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা ২৪২ দশমিক ৩০ লাখ টন, তাও চলতি অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। সুতরাং চাহিদা অনুযায়ী দেশে খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই।

তিনি আরো বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় ২০ জুন মোট ১৫ লাখ ২১ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল। খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ আরো বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ২০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান আছে এবং বৈদেশিক উৎস থেকেও গম আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন