বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বাড়ে তখন দেশে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অধিক পরিমাণে বাড়ানো হয়, যখন কমে তখন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সমপরিমাণ কমানো হয় না—এ বক্তব্য ঠিক নয়।
আওয়ামী লীগদলীয় সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি করে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ২০৩টি দেশে ৭৫১টি পণ্য রফতানি করেছে এবং পণ্য রফতানি করে এ সময়ে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
সরকারদলীয় সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে সয়াবিন তেল মজুদ করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে দাঁড় করানোর অপচেষ্টার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত বাজার মনিটরিং টিম দায়ী ব্যক্তিদের জরিমানা করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও রুজু করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সয়াবিন তেলের বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী বা রিফাইনারি মিলগুলো এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে তদারকি বা অভিযান চালানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৪ হাজার ১৩৩টি বাজার তদারকির মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে ৯ হাজার ৭৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।