কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে —মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানি উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারো কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯। ফলে কোরবানির জন্য কোনো রকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই। কোরবানির হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োগ করা হবে।

গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সে লক্ষ্যে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, অনলাইনে ক্রয়কৃত গরু পছন্দ না হলে টাকা ফেরত নেয়ার ব্যবস্থাও বছর সংযোজন করা হচ্ছে, যাতে ক্রেতারা কোনোভাবেই প্রতারিত না হন।

মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশু পরিবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন