প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো বেশি পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল। আমাদের দেশের বাজেট আরো বড় হওয়া দরকার। কিন্তু আমাদের এনবিআরের কর সংগ্রহ ক্ষমতা কম। কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে বাজেটে যথেষ্ট প্রকল্প নিতে হবে।
ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইডিআরও) উদ্যোগে গতকাল ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং জাতীয় বাজেট-২০২২-২৩’ শিরোনামে এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা। সেমিনারটির গণমাধ্যম সহযোগী ছিল বণিক বার্তা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইডিআরওর কার্যনির্বাহী পরিচালক মো. তানজিল হোসেন। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পিআরআইয়ের কার্যনির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর।
মো. তানজিল হোসেন তার প্রবন্ধে বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। উচ্চশিক্ষাসহ সব স্তরের শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য সুবিধা আরো বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা কৃষি খাতে সরকারের বিশেষ নজর কামনা করেন।
সেমিনারে আরো যুক্ত ছিলেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান। তিনি তার বক্তব্যে বাজেটের বরাদ্দ ও বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বাজেটে গুণগত খরচ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, খরচের খাত ঠিক না করতে পারলে বাজেট যতই বাড়ানো হোক না কেন তা কার্যকর হবে না। স্বাস্থ্য বাজেটের ২০-৩০ ভাগ অর্থ ব্যবহারই হয় না।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে যারা আছেন তাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিস্টেম পরিবর্তন করে উপজেলা লেভেলে স্বাস্থ্য সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইডিআরওর সহকারী গবেষক মো. আলম মন্ডল।