উত্তরে বন্যার উন্নতি হলেও কমেনি বানভাসিদের দুর্ভোগ

বণিক বার্তা ডেস্ক

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। সরকারিভাবে জেলার তিনটি উপজেলায় ৪৫ টন চাল নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, জেলায় যমুনা নদীর পানি বুধবার বিপত্সীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে গেলেও গতকাল পানি কমে তা ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি কমতে থাকায় বানভাসিরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। বাড়িঘর এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। বাঁধে আশ্রিতরা বাঁধেই অস্থায়ী সংসার শুরু করেছে। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ধুনট উপজেলায় সরকারিভাবে ৪৫ টন চাল নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলায় পর্যন্ত ৮৩টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ১০ হাজার ২৫০টি টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পশুখাদ্য তলিয়ে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন দুর্গতরা। ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ডুবে গেছে। আর সোনাতলা উপজেলায় ২১টি গ্রামের ২০ হাজার ১২৮ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। ধুনট উপজেলায় নয়টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ধরলার পানি এখনো বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে চর নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি। এতে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে বানভাসিদের। দীর্ঘ সময় পানিবন্দি থাকায় খাবার সুপেয় পানির চরম সংকটে পড়েছেন দুর্গতরা। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় গো-খাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নিজেদের খাবারের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।

অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো বিপত্সীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনার পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি সেন্টিমিটার কমে শহর রক্ষাবাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় বিপত্সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার কাজীপুর পয়েন্টে সেন্টিমিটার কমে ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি এখনো বাড়ছে। জেলার চৌহালী শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যাপরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বগুড়া, কুড়িগ্রাম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন