নিউজিল্যান্ডে ভোক্তা আস্থা ৩০ বছরের সর্বনিম্নে

বণিক বার্তা ডেস্ক

অর্থনৈতিক চাপের কারণে নিউজিল্যান্ডে গৃহস্থালি ব্যয় সংকোচনের মুখোমুখি হয়েছে। কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশটির ভোক্তা আস্থায় অবনমন হয়েছে। সম্প্রতি ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংক তথ্য জানিয়েছে। খবর ইপোক টাইমস।

১৯৮৮ সালে জরিপ শুরুর পর থেকে ওয়েস্টপ্যাক ম্যাকডারমট মিলার ভোক্তা আস্থা সূচক সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে। ১৩ পয়েন্ট কমে বর্তমানে এর হার ৭৮ দশমিক শতাংশ। ১০০-এর ওপর রিডিং পয়েন্ট থাকলে তা ভোক্তাদের আস্থার ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে।

ওয়েস্টপ্যাকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল গর্ডন বলেন, বন্ধকী ঋণে ক্রমবর্ধমান সুদের হারের পাশাপাশি জীবনযাপন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তা ব্যক্তি আয়ে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ার আশঙ্কা থাকায়, সামনের মাসগুলোয় পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে আরো চাপের মুখে পড়বে।

গত কয়েক মাসে অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বছরের বাকি সময়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট বাজার গবেষকরা। নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জীবনযাপন ব্যয় বেড়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে ভোক্তা পণ্য পরিষেবার দামও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে খাদ্যদ্রব্যের দাম দশমিক শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সবজি ফলের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে। পাম্পগুলোয় পেট্রলের গড় দাম প্রতি লিটারে নিউজিল্যান্ড ডলার বা প্রতি গ্যালনে দশমিক ১৯ ডলার বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার জন্য দেশটির সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটির কারণে গৃহস্থালি খাতের ব্যয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডের রিজার্ভ ব্যাংক জানায়, সামনের মাসগুলোয় সুদের হার আরো বাড়বে। ফলে বন্ধকী ঋণে সুদের হারও বাড়বে। ওয়েস্টপ্যাকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সতীশ র্যাঞ্চোর জানান, যারা ঋণ গ্রহণ করেছেন তারা বর্তমানে যে হারে কিস্তি দিচ্ছেন সামনের তাদের এর তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি হারে শোধ করতে হতে পারে।

বন্ধকীর হার ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও নাগরিকরা বাড়ির দামে অবনমন দেখতে পেয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের রিয়েল এস্টেট ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বরে বাড়ির দাম সর্বোচ্চে থাকলেও চলতি বছরের মে মাসে তা দশমিক শতাংশ কমে গিয়েছে। এক বিবৃতিতে ওয়েস্টপ্যাক জানায়, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হিসেবে ভবিষ্যতে সুদের হার বাড়ানোর মতো বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গর্ডন জানান, ভোক্তাতের আস্থার সঙ্গে যদি চাহিদাও কমতে থাকে তাহলে নগদ হারের বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে পূর্বাভাস দিয়েছে সেটি অনেকটাই কমে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন