
আইসিই এক্সচেঞ্জে অব্যাহতভাবে কমছে অ্যারাবিকা কফির মজুদ। বর্তমানে পণ্যটির মজুদ ২২ বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। মূলত সমজাতীয় পণ্যের তুলনায় কফি অনেক বেশি সাশ্রয়ী হওয়ায় ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্টরা স্পট মার্কেট থেকে পণ্যটির ক্রয় বাড়িয়ে দিয়েছেন। মজুদ কমতে থাকার পেছনে এ বিষয়কেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরা। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
তথ্য বলছে, আইসিই এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত গুদামগুলোয় সর্বশেষ কার্যদিবসেও লক্ষণীয় মাত্রায় কফির মজুদ কমেছে। বর্তমানে সর্বমোট মজুদ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৮১ হাজার ৯০১ ব্যাগে, যা ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডিলাররা বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম নাগাদ আইসিইতে পানীয় পণ্যটির মজুদ আরো কমার আশঙ্কা রয়েছে।
ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা সত্ত্বেও অব্যাহত মজুদ কমতে থাকায় অ্যারাবিকা কফির দাম ব্যাপক বেড়েছে। গতকাল সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে পণ্যটির দাম দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি পাউন্ড লেনদেন হয়েছে ২ ডলার ৩৪ সেন্টে। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে রোবাস্তা কফির দাম দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৯ ডলারে।
তবে কফির দাম বাড়লেও কমেছে কোকোর। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন কোকো ২ হাজার ৪৪৯ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৮০ শতাংশ কম।