রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর বাংলাদেশে গম আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছিল ভারত। দেশটি সম্প্রতি তাদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গম রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। এতে বাংলাদেশের বাজারে গমের দাম বেড়ে গেছে, যা আগে থেকেই বেশ চড়া ছিল। ভারতে এ ঘোষণার পর সরকার এখন রাশিয়া থেকে গম আমদানি কথা ভাবছে। এ বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আগামীকাল ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ। বৈঠকে গম আমদানি বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি বা সিদ্ধান্ত নেবে দুই দেশ।খবর রয়টার্স।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নাম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে রাশিয়া থেকে কমপক্ষে দুই লাখ টন গম আমদানির প্রস্তাব দেবে।
তথ্য বলছে, বাংলাদেশ প্রায় ৭০ লাখ টন গম আমদানি করে এবং গত বছর এর দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি ভারত থেকে এসেছিল। সম্প্রতি ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে তা সচল রাখার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু উচ্চ মূল্যের কারণে তা ব্যর্থ হয়। কারণ বাংলাদেশ ভারতীয় গমের জন্য খরচ এবং মালবাহী ভিত্তিতে প্রতি টন প্রতি ৪০০ ডলারের কমমূল্য পরিশোধ করেছিল, কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে তা দাম বেড়ে টন প্রতি ৪৬০ ডলারে পৌঁছায় বলে জানায়, মুম্বাই-ভিত্তিক একটি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংস্থার একজন ডিলার বলেছেন।
রয়টার্স আরো জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন গমের মজুদ রয়েছে। এ মজুদের পরিমাণ ১ লাখ ৬৬ হাজার টনে পৌঁছেছে। সরকারি ওই কর্মকতা জানান, অনেক দেশ আছে যারা বাংলাদেশে গম সরবরাহ করতে পারে, কিন্তু মূল বিষয় হল দাম। রাশিয়া বিশ্বব্যাপী দামের উপর ছাড় দিচ্ছে। তাই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। তবে এক্ষেত্রে রাশিয়ান গমের মূল্য পরিশোধ করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন তিনি। তবে পেমেন্টসহ সমস্ত বিষয় বৈঠকে আলোচনা করা হবে জানান তিনি।