এরিকসন মবিলিটি রিপোর্ট

চলতি বছরেই ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন এক বিলিয়ন ছাড়াবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

বর্তমানে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ মানুষ ফাইভজি কভারেজের আওতায় এসেছে। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকেই নতুন করে সাত কোটি ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন এসেছে। চলতি বছর শেষে ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন এক বিলিয়ন ছাড়াবে। ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ মানুষই ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে বলে পূর্বাভাস এরিকসনের।

সম্প্রতি প্রকাশিত এরিকসন মবিলিটি রিপোর্টে বলা হয়, বৈশ্বিক মোবাইল নেটওয়ার্কে ডাটা ট্রাফিক গত দুই বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০২২ সালে মোট মোবাইল ডাটা নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের ২০ শতাংশ হিস্যা ছিল ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেসের (এফডব্লিউএ) ২০২২ শেষে ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন শতকোটি ছাড়াবে। ২০২৭ সালের মধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্কে বৈশ্বিক ডাটা ট্রাফিকের ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হবে ফাইভজি নেটওয়ার্কে।

২২তম এরিকসন মবিলিটি রিপোর্টে বলা হয়, ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন বৃদ্ধিতে পরবর্তী পাঁচ বছর নেতৃত্ব দেবে উত্তর আমেরিকা। ২০২৭ সাল নাগাদ অঞ্চলটির প্রতি ১০ সাবস্ক্রিপশনের নয়টিই হবে ফাইভজি। এরিকসন মবিলিটি রিপোর্টে আরো বলা হয়, চলতি বছর শেষেই বৈশ্বিক ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন এক বিলিয়নের সীমা অতিক্রম করবে। সুইডিশ কোম্পানিটির পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন সম্প্রসারণের হার পশ্চিম ইউরোপে ৮২ শতাংশ, জিসিসিভুক্ত দেশে ৮০ শতাংশ উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় ৭৪ শতাংশ থাকবে।

চীনের হুয়াওয়ে ফিনল্যান্ডের নকিয়াকে টেক্কা দিয়ে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ মোবাইল পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়েছে এরিকসন। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এরিকসনের ফাইভজি গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি থেকে বেড়ে ৬২ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৯০ কোটিতে।

ফাইভজি বা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কে আগের প্রজন্মের নেটওয়ার্কের চেয়ে তুলনামূলক বেশি গতি পাওয়া যায়। নতুন নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা এমনভাবে ডিভাইস সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্বচালিত ড্রাইভিংয়ের মতো ফিচার আনার সুযোগ করে দিতে পারে। ২০২৭ সাল নাগাদ প্রায় ৪৪০ কোটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে পারে ফাইভজি। বছর ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলেও গ্রাহকরা ফাইভজিতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি কমে যাবে বলে উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন