চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতের একাধিক শহরে চালু হতে যাচ্ছে ফাইভজি পরিষেবা। ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানান, ২০২২ সালের শেষের দিকে দেশের ২০ থেকে ২৫টি শহরে ফাইভজি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এও জানা যাচ্ছে যে এ পরিষেবার খরচ বিশ্ববাজারের তুলনায় অনেকটাই কম হবে। খবর পিটিআই।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে স্পেকট্রাম নিলাম আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয় টেলিযোগাযোগ দপ্তরকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। এ নিলামের মাধ্যমেই দেশে ফাইভজি পরিষেবা শুরুর দায়িত্ব বণ্টন করা হবে নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। শোনা যাচ্ছে জুলাই মাসেই শুরু হবে ফাইভজি স্পেকট্রামের নিলাম। আর প্রথম দফায় পরিষেবা চালু হতে পারে আগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ।
প্রকাশিত একটি সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম দফায় মোট ১৩টি শহরের বাসিন্দা এ পরিষেবা পাবেন। কিন্তু কোন কোন শহর এ পরিষেবা আগে পাবে সে বিষয়ে এখনো সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, গুরুগ্রাম, পুনে, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, লক্ষৌ,
হায়দরাবাদ, জামনগর, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর—১৩টি শহরে চালু হবে ফাইভজি। জানা যাচ্ছে এ পরিষেবা পেতে গ্রাহককে ন্যূনতম ১৫৫ রুপি খরচ করতে হবে। যেখানে বিশ্ববাজারের ফাইভজি পরিষেবার দাম ১ হাজার ৯০০ রুপি হতে পারে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আগেই জানা গিয়েছিল, ২০ বছরের জন্য মোট ৭২০৯৭.৮৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিলাম করা হবে। মন্ত্রিসভার তরফে দাবি করা হয়, ফাইভজি পরিষেবা আগের ফোরজি পরিষেবার তুলনায় ১০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন হবে। এমনও মনে করা হচ্ছে, নিলামে অংশ নিতে পারে ভোডাফোন, এয়ারটেল ও রিলায়েন্স জিও।
