বন্যা মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত —দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে সিলেট সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি। ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। যে কারণে আমাদের দেশে আগামী দুইদিন বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে। তার পরের দুদিন পানি নামতে শুরু করবে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। পর্যাপ্ত অর্থ-খাদ্য রয়েছে। আশা করি, একটা টেকসই অবস্থানে থাকতে পারব।

গতকাল সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট সুনামগঞ্জে আগামী দুইদিন বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। মঙ্গলবার বুধবার থেকে সিলেট সুনামগঞ্জে পানি কমতে শুরু করবে। তবে ওই সময়ে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।

গত ১৪ জুন থেকে শুরু করে উজান থেকে নেমে আসা পানি বন্যায় দেশের উত্তর দক্ষিণাঞ্চলে পর্যন্ত ১০ জেলার ৬৪ উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি বর্ণনা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের বন্যা পাহাড়ি ঢল। এবারের বন্যায় সিলেটের ৬০ শতাংশ প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের ৮০-৯০ শতাংশ পানিতে ডুবে গেছে। গত দুইদিনে চার ফুট করে আট ফুট পানি বেড়েছে ওই এলাকায়, যা চিন্তাতীত।

মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড নৌবাহিনী একসঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। শনিবার (গতকাল) রাতের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এরই মধ্যে সিলেট সুনামগঞ্জে ৮০ লাখ টাকা করে নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটসহ শুকনো খাদ্য দেয়া হচ্ছে। এছাড়া দুই এলাকায় দেড় হাজার টন চাল পাঠানো হয়েছে। হাতে কোটি টাকা রয়েছে। আরো ২০ কোটি টাকা জিআর থেকে চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সর্বক্ষণ মনিটর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবসময় খোঁজ নিচ্ছেন। তার দিকনির্দেশনা মেনেই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন