আইপিওর শেয়ার পেতে থাকতে হবে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছরের আগ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে কোনো বিনিয়োগ না থাকলেও একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করা শেয়ার কিনতে পারতেন। গত বছর এক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকার শর্ত আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবার সীমা আরো বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) জন্য সীমা লাখ টাকা। গতকাল বিএসইসির ৮২৬তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কমিশন সভা শেষে বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তোলা প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনে সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে এনআরবিসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগসীমা বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান সীমা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং এনআরবিদের জন্য এটি লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, আইপিওতে থেকে ১০ লাখ বিনিয়োগকারী আবেদন করে থাকেন। বিনিয়োগসীমা বাড়ানোর ফলে পরবর্তী আইপিওর কাট অফ তারিখে এসব বিও হিসাবের প্রতিটির মাধ্যমে গড়ে ৩০ হাজার টাকা পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ আসবে।

এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিএসইসির ৭৫৫তম কমিশন সভায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজারমূল্যে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। গত বছরের এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর করা হয়।

এদিকে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে সম্প্রতি যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) আইপিওতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগসীমা বাড়িয়েছে বিএসইসি। গত ২৩ মে বিএসইসির ৮২৪তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে কাট অফ তারিখে ইআইদের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগসীমা কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে আইপিও কোটা সুবিধা নিতে ইআইদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ন্যূনতম কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থাকতে হবে।

এছাড়া অনুমোদিত পেনশন ফান্ড, স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড গ্র্যাচুইটি ফান্ডের ক্ষেত্রেও কোটা সুবিধা নিতে দেড় কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থাকতে হবে। এতদিন পুঁজিবাজারে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলেই এসব ফান্ড আইপিও কোটা সুবিধা ভোগ করতে পারত। এসব ফান্ড ইলেকট্রনিকস সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমসে (ইএসএস) নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ইএসএস টিম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমোদিত কপি এবং নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিবরণী পরীক্ষা করে নিবন্ধন নিশ্চিত করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন