নিম্নমুখী বাজারে আবার চাঙ্গা হচ্ছে বীমার শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত দুই দিন ধরেই নিম্নমুখী অবস্থানে দেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় পয়েন্ট হারাচ্ছে সূচক। যদিও নিম্নমুখী বাজারের বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে সাধারণ বীমা খাতের শেয়ারদরে। এর মধ্যে গত সোমবার দশমিক শতাংশ গতকাল দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে সাধারণ বীমা খাতের শেয়ারে। সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ বীমা খাতে ২৬২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা উত্থানের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। কারণে দুই দিন ধরে শেয়ার বিক্রির চাপও ছিল বেশি। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বীমা খাতের শেয়ারে বেশ কয়েকবার অস্বাভাবিক উত্থান হতে দেখা গেছে। বীমা খাতের শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ার কারণে একশ্রেণীর সুযোগসন্ধানী বিনিয়োগকারী মাঝেমধ্যেই খাতের শেয়ারদরকে প্রভাবিত করেন। লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি প্লাস ওয়ানে নামিয়ে আনার উদ্যোগের খবরে কেউ কেউ আগে থেকেই বীমা শেয়ারে অবস্থান নিচ্ছেন, যাতে পরবর্তী সময়ে সুবিধা নেয়া যায়। এসব কারণেই বাজারের বিপরীত প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বীমা খাতের শেয়ারে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর আধা ঘণ্টা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এর পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ছিল সূচক। তবে শেষ দেড় ঘণ্টার শেয়ার বিক্রির চাপে গতকাল দিনশেষে ২০ পয়েন্ট কমে হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ রেনাটা লিমিটেডের শেয়ারের।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ১০ পয়েন্ট কমে হাজার ৩৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট কমে হাজার ৪১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৪১৭ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৭৩৯ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৯৭৪ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ২২৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। ১০ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। এছাড়া বস্ত্র খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল সাধারণ বীমা খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল সেবা আবাসন খাত।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৩৬ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৪০৭ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৬১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৯ হাজার ২০ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩০৮টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১৯৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন