শেষ ঘণ্টায় শেয়ার বিক্রির চাপ

সাতদিন পর পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা সাতদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে। গতকালও ঊর্ধ্বমুখিতার মধ্য দিয়েই লেনদেন শুরু হয়েছিল। যদিও শেষ ঘণ্টার বিক্রয়চাপে দিনশেষে পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক। বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণে গতকাল দর সংশোধনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমলেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা উত্থানের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। কারণে গতকাল শেয়ার বিক্রির চাপও ছিল বেশি। তবে সকাল থেকে বীমা খাতের শেয়ারে ক্রয়চাপ দেখা গেছে, যা শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল। এতে দিনশেষে সূচকের পতন হলেও বীমা খাতের শেয়ারে ঊর্ধ্বমুখিতা বজায় ছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর প্রথম ঘণ্টা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। তবে শেষ ঘণ্টার শেয়ার বিক্রির চাপে গতকাল দিনশেষে পয়েন্ট কমে হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ১২ পয়েন্ট কমে হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিনশেষে পয়েন্ট কমে হাজার ৪১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৪২৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৯৭৪ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৯৫০ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৭৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ২০৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। এছাড়া ওষুধ রসায়ন খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের শতাংশ। গতকাল সাধারণ বীমা খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিনে দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাত।

সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ১১ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৪০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৪১৮ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ১৯ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৯ হাজার ৩৯ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩১৭টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৫৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন