বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহেও ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক লেনদেন দুটোই বেড়েছে পুঁজিবাজারে। সময় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের প্রবণতা দেখা গেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৭১ শতাংশ। সময়ে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে দশমিক শতাংশ। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজস্বের ক্ষেত্রেও সহনীয় নীতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া পুঁজিবাজারের জন্যও বাজেটে নীতিসহায়তা থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এতে বাজেটকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহের সঞ্চার রয়েছে। কারণে গতকাল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নির্দিষ্ট খাতভিত্তিক বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে দেখা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর প্রথম ঘণ্টা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। তবে শেয়ার বিক্রির চাপে এর পর থেকেই পয়েন্ট হারাতে থাকে ডিএসইএক্স। তবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে সূচক। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিনশেষে ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪৫২ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ারের।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ১৮ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১০ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৪১৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৯৫০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৮৭৫ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৭৮টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ২০২টির, কমেছে ১২৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫২টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য আনুষঙ্গিক খাত। ১১ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। এছাড়া প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল সাধারণ বীমা খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল ভ্রমণ অবকাশ খাত।

সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৪১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ১৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৮ হাজার ৮৯২ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩০৩টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ৯৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৬টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২৩ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন