রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলের জার্মানি সফর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউরোপে রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের দুই দিনব্যাপী জার্মানি সফর শেষ হয়েছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, নীলা হোসনে আরা, ইমরানুর রহমান শামস মাহমুদ। সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি . বারবেল কোফলারের সঙ্গে দেখা করে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল। এর আগে একই দিন সকালে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশনের ডিজি ডোমিনিক স্নিসেলসের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। বিকালে প্রতিনিধি দলটি জার্মান সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের সঙ্গে সভায় মিলিত হন।

প্রতিনিধি দলটি সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার জার্মানির হামবুর্গে এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত টেক্সটাইল রাউন্ড টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক কার্যালয় যৌথভাবে রাউন্ড টেবিল বৈঠক আয়োজন করে। ওই রাউন্ড টেবিল বৈঠকটি জার্মানির ব্যবসায়ী গোষ্ঠী উইশ গ্রুপ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি দল জার্মান কোম্পানি মাইলস জিএমবিএইচ পরিদর্শন করে। সফরে জার্মানির নতুন আইন ডুয়ো ডিলিজেন্স ইন সাপ্লাই চেইন অ্যাক্ট ২০২১ মেনে কীভাবে বাংলাদেশ জার্মানি তথা গোটা ইউরোপে রফতানি বৃদ্ধি করতে পারে সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য গার্মেন্টস। পৃথিবীর সব ব্র্যান্ডের পোশাক বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানের। সব কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট রয়েছে আমাদের। মুহূর্তে বাংলাদেশে ১৬১টি এলইইডি সার্টিফাইড কোম্পানি রয়েছে। সারা বিশ্বে ১০টি গ্রিন গার্মেন্টস রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশে নয়টি। বর্তমানে আমাদের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো জার্মান সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড ডিউ ডিলিজেন্স অনুযায়ী পণ্য রফতানিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। সময় বাংলাদেশ এলডিজি গ্রুপের মুখপাত্র হিসেবে তিনি এই জিএসপি আরো ১০-১২ বছর অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন