ঋতু সাত্তার সব প্রজন্মের নারীবাদী কর্মী ও সংগঠকদের অংশগ্রহণে হিম্মতি মাঈ শিরোনামে একটি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ বিকাল ৪টায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যবর্তী সড়কে পরিবেশিত হতে যাচ্ছে এটি। হিম্মতি মাঈ একটি পারফরম্যান্স আর্ট। একটি প্রতিবাদ, একটি বিবৃতি, সমন্বিত অবস্থানের একটি অভিব্যক্তি। এ পারফরম্যান্সের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে চলমান নারী আন্দোলনে যারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন, তাদের শক্তিশালী ও সাহসী কণ্ঠস্বর উদযাপন করা।
হিম্মতি মাঈয়ের শিল্পী ও আহ্বায়ক ঋতু সাত্তার বলেন, ‘হিম্মতি মাঈ পারফরম্যান্স মূলত সমাবেশ আকারে করা হবে। একটা সমাবেশে সবাই যেমন নিজের ইচ্ছায় আসেন, এ পারফরম্যান্সে যারা অংশ নেবেন, তারাও নিজেদের ইচ্ছা থেকে আসছেন। নারী সংগঠনগুলোর কর্মীরা এতে অংশে নিচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয়, একজন নারীকে প্রতিদিন সংগ্রাম করতে হয়। প্রতিদিনের ছাড় দেয়া বিষয়গুলো থেকেই কিন্তু বড় ধরনের অন্যায় হয় নারীদের সঙ্গে। তাই যারা সবসময় নারী হিসেবে নিজের অবস্থান থেকে নিজের কথা বলতে পিছপা হন না, তাদের কথা বলতেই এ আয়োজন।’
ঋতু সাত্তার আরো বলেন, ‘এ পরিবেশনার অনুপ্রেরণা নোয়াখালীতে সহিংসতার শিকার এক নারীর মানসিক শক্তি। রায় না হওয়া পর্যন্ত তার দৃঢ়তা প্রতিবন্ধকতার মুখে নারী শক্তি কীভাবে রুখে দাঁড়াতে পারে সেটাই প্রতীয়মান করে। আমরা সব প্রজন্ম, পেশা ও সামাজিক শ্রেণী ছাড়িয়ে একে অন্যের কাছ থেকে শক্তি নেয়ার জন্যই এ পারফরম্যান্সে একত্র হচ্ছি।
বাংলাদেশের নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, যারা সবসময় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন, কিন্তু একই সঙ্গে সামাজিক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারাই এ পারফরম্যান্সের পেছনে মূল শক্তি। পারফরম্যান্সটি সর্বসাধারণের চলাচলের রাস্তায় করা হয়েছে, যাতে নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক সদস্য সম্মিলিতভাবে জানান দিতে পারেন বাংলাদেশের পুরুষপ্রধান সড়ক শুধু পুরুষের নয়, নারীরও। এ আয়োজনে বিশেষ সহায়তা করেছে ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং রেভল্যুশন বাংলাদেশ।’
হিম্মতি মাঈ শীর্ষক পারফরম্যান্স আর্ট পরিবেশনাটি চলবে বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। পরিবেশনাটির শিল্পীরা সবাই বাস্তব জীবন থেকে উঠে এসেছেন। গার্মেন্ট কর্মী, প্রতিবন্ধী, নন-বাইনারি, সব বয়স ও পর্যায় থেকে আমন্ত্রিত নারীবাদী কর্মী ও সংগঠক এ পারফরম্যান্সে অংশগ্রহণ করেছেন।
