মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গণটিকার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা ডাঃ সিলভি ব্রান্ড। আজ শুক্রবার ৭৫তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে সংস্থার সদস্য দেশগুলোর অংশগ্রহণে ‘মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব’ শীর্ষক বিশেষ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদলু এজেন্সি।
ডব্লিউএইচও-এর মহামারী এবং অতিমারী প্রস্তুতি এবং প্রতিরোধ বিভাগের পরিচালক ডাঃ সিলভি বিবৃতিতে বলেন, এটি একটি জুনোটিক রোগ, অর্থাৎ প্রাণীর মাধ্যমে এ সংক্রমণ ছড়ায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনও জানি না, কোন প্রাণী এই ভাইরাসের ধারক।
তিনি আরো বলেন,আমাদের এখন পর্যন্ত পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে গণ টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি টিকাদানের জন্য বড় আকারে প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন নেই বলেও যোগ করেন তিনি।
এর আগে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে দুই শতাধিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচও জানায়, কীভাবে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব হয়েছে এ নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংস্থাটির এক শীর্ষ উপদেষ্টা জানান, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রাদুর্ভাবের পেছনে স্পেন ও বেলজিয়ামে আয়োজিত দুটি সাম্প্রতিক পার্টির ভূমিকা থাকতে পারে।
প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে গুটিবসন্তের টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখছে ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ। ডব্লিউএইচওও এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে বলে জানায় তারা।
ডব্লিউএইচওর গুটিবসন্ত বিভাগের প্রধান ড. রোজামুন্ড লুইস জানান, গণহারে সবার টিকা গ্রহণের প্রয়োজন নেই। এ রোগ সহজে ছড়ায় না এবং সংক্রমণে চামড়ার সঙ্গে চামড়ার সংস্পর্শ প্রয়োজন। এখনো মাঙ্কিপক্সের টিকা তৈরি করা যায়নি। তবে জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য সংস্থাটির অনুমান, প্রায় ৮৫ শতাংশের ক্ষেত্রে গুটিবসন্তের টিকা কার্যকর হয়েছে।