চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ফ্লাট উইকেটে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে কোনো দলই ম্যাচে ব্যবধান তৈরি করার মতো বোলিং নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি। পাঁচদিনে তিন ইনিংসও সম্পন্ন হয়নি, তাতেই কিনা ম্যাচটি ড্র হয়েছে। প্রথম ম্যাচ ড্র হওয়ায় জয়ের ক্ষুধা বেড়েছে দুই দলেরই। এমনই বাস্তবতায় আজ মিরপুরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা।
সাগরিকায় দুই দলেরই বোলিং শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়—অসুস্থ হয়ে পড়া বিশ্ব ফার্নান্দোকে মাঠে নামাতে পারেনি শ্রীলংকা, অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া স্পিনার নাঈম হাসান ও পেসার শরিফুল ইসলাম উভয়কেই চোটের কাছে হারায় বাংলাদেশ।
মিরপুরের উইকেটে ড্র খুব কমই হয়েছে। এ দুটি দলেরই স্পিন ভাণ্ডার বেশ সমৃদ্ধ। এ মাঠে চিরাচরিতভাবে তিনজন স্লো বোলার ও একজন সিমার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। এবারো শেরেবাংলার পিচে বল বেশ টার্ন করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সর্বশেষ আট টেস্টের মধ্যে পাঁচটিই জিতেছে বাংলাদেশ। যদিও এ মাঠে সর্বশেষ দুটি ম্যাচেই হেরেছে স্বাগতিকরা। গত বছর রাহকিম কর্নওয়াল ও সাজিদ খানের স্পিনে কুপোকাত হয় বাংলাদেশ, জয় তুলে নেয় যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান।
চট্টগ্রামে নিজেদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট দুই দলই। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে টেনেছেন, আর ভালোই অবদান রাখেন মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাস। নাঈম হাসান ছিটকে পড়ায় ঢাকা টেস্টে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক সুযোগ পেতে পারেন একাদশে। তার অফস্পিন কাজে লাগাতে চাইবে স্বাগতিকরা। শরিফুলের জায়গায় একাদশে ঢুকবেন এবাদত হোসেন।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্টের কথা মাথায় রেখে দুটি দলই মিরপুরে জিততে নামবে। শ্রীলংকা ৫ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরে ও বাংলাদেশ ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। এ ম্যাচে জিতলে পয়েন্টে শ্রীলংকা ও নিউজিল্যান্ডকে ছুঁয়ে ফেলবে বাংলাদেশ, মুমিনুল হকের দল উঠবে টেবিলের ৭ নম্বরে।