সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বর্ণ ব্যবসার ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শুভেচ্ছ দূত সাকিব আল হাসান সম্প্রতি স্বর্ণের ব্যবসায় নেমেছেন। এজন্য তিনি দুটি প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। অন্যদিকে সিএসইর পক্ষ থেকেও দেশে একটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যেখানে স্বর্ণসহ অন্যান্য পণ্য বেচাকেনা করা হবে। অবস্থায় সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বর্ণ ব্যবসার বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছে বিএসইসি।

সম্প্রতি সাকিব আল হাসানের স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই প্রতিষ্ঠান রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। একই সঙ্গে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, সদস্যভুক্ত কোনো ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো সিকিউরিটিজের জন্য ব্রোকার বা ডিলার হিসেবে কাজ করবে না। ফলে পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুমোদন ছাড়া বা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য না হয়েও কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে আপনাদের অবস্থান জানতে চায় কমিশন।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে নগদ বা অফসেট কমিশনের সঙ্গে যথাযথভাবে নিবন্ধিত। কমোডিটি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি, পশুসম্পদ, মৎস্য, বনজ, খনিজ বা এনার্জি দ্রব্যাদি এবং জাতীয় পণ্য থেকে তৈরি বা প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যাদি। এছাড়া কমিশন কর্তৃক সরকারি গেজেটের মাধ্যমে অবহিত করা যেকোনো পণ্য বা দ্রব্যাদি হতে পারে। আর  কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টকে নিরাপত্তা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। চিঠি ইস্যুর সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যার জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক . শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, সিকিউরিটিজ আইনে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সংজ্ঞায়িত ব্যবসার ধরনের বিষয়ে বলা হয়েছে। ধরনের কোনো কিছু করতে হলে কমিশনের অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের ব্যবসার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। তাদের জবাব পাওয়ার পর বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন