মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দোটানায় জাপানের গাড়ি নির্মাতারা

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর পর থেকে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ চেইনে সংকট দেখা দেয়। নানা কারণে বেড়ে যায় কাঁচামালের দাম। অবস্থায় স্বভাবতই বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। কিন্তু সে খরচের ভার এখনো ক্রেতার ওপর চাপায়নি জাপানের বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইস্পাত থেকে শুরু করে অ্যালুমিনিয়াম বা লিথিয়াম সবকিছুর দাম অনেক বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির ভয়ে বিশ্বজুড়ে গ্রাহক চাহিদাতেও পরিবর্তন এসেছে। অবস্থায় উৎপাদিত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করা হবে কিনা, তা নিয়ে দোটানায় পড়েছে টয়োটা, নিশান হোন্ডার মতো প্রতিষ্ঠান। খবর নিক্কেই এশিয়া।

গত সপ্তাহে এক পূর্বাভাসে টয়োটা মোটরস জানিয়েছিল, মার্চ পর্যন্ত এক বছরে তাদের নেট মুনাফায় ২১ শতাংশ পতন হতে পারে। যদিও ইয়েন-ডলার বিনিময় হারের একটি প্রথাগত অনুমানের ওপর ভিত্তি করে পূর্বাভাস হিসাব করা হয়েছিল। যদিও ক্রমবর্ধমান দামের চাপের পরেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের মূল্য নির্ধারণ কৌশল সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বিষয়ে টয়োটার প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা জুন নাগাতা বলেন, কেবল কাঁচামালের সংকট বা দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করা সমস্যা।

প্রায় একই কথা বলেছেন নিশান মোটরসের চিফ অপারেটিং অফিসার অশ্বিনী গুপ্ত। তিনি বলেন, গ্রাহকদের দিক থেকে দেখলে গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়া উদ্বেগজনক। বিশেষ করে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারে গাড়ির দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশ কৌশলী হতে হয়। কারণ বহু বছর জাপানের মানুষ মূল্যস্ফীতি দেখেনি। ফলে মূল্যস্ফীতির কারণ দেখিয়ে দামও বাড়াতে হয়নি উৎপাদকদের।

পরিস্থিতিতে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম বাড়ানো হবে নাকি মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হবে, সেটি নিয়েই দোটানায় পড়ে গিয়েছে জাপানের গাড়ি উৎপাদকরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন