আসন্ন বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, পণ্য সরবরাহ ও এলডিসি উত্তরণ। এসব মোকাবেলায় বাজেটে পণ্য উৎপাদন ব্যাহত, সরবরাহ বাধাগ্রস্ত এবং আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিজনিত অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। বৈশ্বিক চাপ মোকাবেলায় অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোসহ নানা সুবিধা থাকতে হবে।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ‘ইকোনমিক চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড দ্য আপকামিং বাজেট ফর ফাইনান্স্যিয়াল ইয়ার-২০২৩’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস পোস্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক নাজমুল আহসান অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রমুখ।
এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। বর্তমান মূল্যস্ফীতির উৎস বৈশ্বিক পরিস্থিতি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দরবৃদ্ধি। যখন বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, তখন অভ্যন্তরীণ পলিসি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের কতটা সুরক্ষা দিতে পারে বাজেটে তার প্রতিফলন থাকা উচিত। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো যায়। কিন্তু যাদের প্রয়োজন তারা সঠিকভাবে তা পায় না। এ তহবিলের টাকা তছরুপ হয়। এটা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। সুতরাং এ খাতে আগামী বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, আগামী বাজেটে করোনা, যুদ্ধ ও এলডিসি উত্তরণ—এ তিনটি চ্যালেঞ্জ।