পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের খাল পারাপারে ভরসা সাঁকো

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

বাউফলের কবির খালি খালের সাঁকোটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

খাল পার হয়েই স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে হয় পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থীকে। উপজেলা, হাঁট-বাজার ইউনিয়ন পরিষদের জরুরি কাজসহ নিত্যপ্রয়োজনে প্রতিদিনই পার হতে হয় আরো কয়েক হাজার মানুষের। খালটি পার হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের একটি সাঁকো। চিত্র পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের। এলাকার কবির খালি খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। এতে বিভিন্ন সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন খালটির ওপর একটি ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের দাবি করা হচ্ছে। আশ্বাস মিললেও এখনো স্থায়ী কোনো সমাধান মেলেনি। 

আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবপুরে ডা. কমলেন্দু রায়ের বাড়ির উত্তর পাশে ইউসুফ বাড়ির পূর্ব পাশে কবির খালি খালের অবস্থান। এটি পার হওয়ার একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন হয়ে যাওযায় সেটিও বর্তমানে নড়বড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি ব্যবহার করে দক্ষিণ মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপাশা সরকারি জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর এনকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কৃষি ডিপ্লোমা মহসেন উদ্দিন নূরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ। এছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা হাজিরহাট, কাশিপুর, মিলঘর, মাধবপুরসহ পাশের বাজারে যাতায়াতেরও একমাত্র মাধ্যম সাঁকোটি। ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের জন্যও সাঁকো ব্যবহার করা হয়। এতে একদিকে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হয় শিক্ষার্থীদের।

কথা হয় সাঁকোটি ব্যবহার করা হাসিব, অনিতা, ছালমা আক্তার, সরস্বতীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভয়ে ভয়ে পার হতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী পা পিছলে সাঁকো থেকে খালে পড়ে যায়। এতে যেমন তারা আহত হয়, তেমনি জামাকাপড় বইপত্র নষ্ট হয়।

শিক্ষার্থী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর পরিবর্তে ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম হাওলাদার। তিনি বলেন, এলাকাবাসীর কল্যাণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য বাঁশের সাঁকোটির পরিবর্তে একটি কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মাণ করতে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য এলজিইডিকে জানিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন