র‍্যাগিংয়ের দায়ে যবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অপরাধে যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিজেন্ট বোর্ডের ৭৮তম বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত  নেয়া হয়। বোর্ডের সদস্যদের অনেকে সশরীরে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি ভার্চুয়ালিও যুক্ত থাকেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক . মো. আনোয়ার হোসেন।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিভিন্ন বিভাগের আরো ১০ শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের র্যাগিংয়ে জড়িত থাকবে না উল্লেখ করে অভিভাবকের সম্মতিসহ ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিতে হবে মর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুচলেকা না দিলে অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিভিন্ন র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটি রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেয়। রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তা গৃহীত হয়। শাস্তিসংক্রান্ত নোটিস খুব দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। 

তদন্ত কমিটির মতে, গত ১৭ এপ্রিল যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩২০ নং কক্ষ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাব্বির আলমকে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন ২০১৬-১৭ বর্ষের তিন শিক্ষার্থী। ফলে সাব্বির আলম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

উল্লেখ্য, ওই কক্ষে উপস্থিত অন্য ১০-১৫ ছাত্রও তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন বলেও তদন্তে বেরিয়ে আসে। সাব্বির আলম জ্ঞান হারানোর পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করা হয় এবং এক-দেড় ঘণ্টা হাসপাতালে না নিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হয়। তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তাকে যবিপ্রবির অ্যাম্বুলেন্সযোগে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনোরূপ অভিযোগ না করার জন্য হুমকি প্রদান করা হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সভায় র্যাগিংয়ের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন