পরবর্তী প্রজন্মের ইমারশন লিকুইড কুলিং প্রযুক্তির উন্নয়নে ৭০ কোটি ডলার ব্যয়ে নতুন মেগা ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ইন্টেল। খবর টেকরাডার।
চলতি বছরশেষে ওরিগনের হিলসবরোতে প্রতিষ্ঠানটির জোনস ফার্ম ক্যাম্পাসে ২ লাখ বর্গফুট জায়গাবিশিষ্ট ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। সংশ্লিষ্টদের আশা ২০২৩ সালের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু করা হবে। ইমারশন কুলিং প্রযুক্তিতে সার্ভারসহ কম্পিউটিংয়ের অন্য যন্ত্রাংশ বিদ্যুৎ নিরোধক পানিতে নিমজ্জিত রাখা হয়। ফলে ব্যয়বহুল ডাটা সেন্টারগুলোয় এয়ারকন্ডিশনিংয়ের প্রয়োজন হয় না।
ইমারশন কুলিং প্রযুক্তির পাশাপাশি ল্যাবটিকে পানি ব্যবহারের কার্যকারিতা, তাপ বের করার মাধ্যমে পুনরায় এর ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্টটি। এ দুটি কাজের পাশাপাশি ল্যাবটিতে ইন্টেল তাদের ডাটা সেন্টার, ইন্টেল জিওনসহ নির্ধারিত হোস্টিং প্রোগ্রাম, ইন্টেল অপটেন, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস, সুইচ গিয়ার, ইন্টেল এজিলেক্স এফপিজিএএস, এক্সই আর্কিটেকচার, হাবানা এক্সিলারেটসহ অন্যান্য ভবিষ্যৎ পণ্যের উন্নয়ন সক্ষমতার পরীক্ষা ও বাস্তবায়নের বিষয়ে কাজ করবে।
গ্রাহক ও অংশীদারদের ল্যাবের বিভিন্ন ডেটা সেন্টার পরিবেশে ইন্টেল পণ্যগুলো পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করার জন্য একটি উন্নত প্রযুক্তির প্রদর্শন কেন্দ্রও পরিচালনা করবে। এছাড়া ইন্টেল একটি উন্মুক্ত ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি চালু করেছে যেখানে ইমারশন লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি ও একটি রেফারেন্স ডিজাইনও রয়েছে।
নতুন যে কুলিং প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে সেটি ইন্টেল তাইওয়ানের সহযোগিতায় সম্পন্ন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে দেশটিতেই এর ব্যবহার শুরু হবে। ধীরে ধীরে প্রযুক্তিটি বিশ্বে উন্মুক্ত করা হবে। ইন্টেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ১ শতাংশ ডাটা সেন্টারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং মোট কার্বনের দশমিক ৩ শতাংশ এখান থেকে নির্গত হয়।