বছরের প্রথম প্রান্তিকে ঊর্ধ্বমুখী কফির চাহিদা

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে উৎপাদন হয় না এমন দেশগুলোয় কফির চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। যদিও আসন্ন প্রান্তিকগুলোয় চীন রাশিয়ার বাজারে চাহিদা শ্লথ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে রাবোব্যাংক।

এতে বলা হয়, যেসব দেশ কফি উৎপাদন করে না এবং আমদানির পর পুনরায় রফতানিও করে না, সেসব দেশে জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে পানীয় পণ্যটির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাজ্যে চাহিদা বৃদ্ধির হার শতাংশ। এছাড়া যুক্তরাষ্টে দশমিক এবং জাপানে দশমিক শতাংশ চাহিদা বেড়েছে।

রাবোব্যাংক বলছে, চাহিদা বাড়লেও তা এখনো করোনা মহামারীপূর্ব অবস্থায় ফিরে যেতে পারেনি। দুই বছর আগের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চাহিদা বেড়েছে মাত্র দশমিক শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীনে কভিডজনিত লকডাউন এসব দেশে কফির চাহিদাকে নিম্নমুখী করে তুলতে পারে। তারা আরো জানান, খুচরা বাজারে পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী দাম ব্রাজিলে চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দেশটি বৈশ্বিক কফি উাৎপাদনে প্রথম। পাশাপাশি ব্যবহারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই দেশটির অবস্থান।

রাবোব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে রাশিয়ায় কফির চাহিদা ২৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনে কমেছে ৫০ শতাংশ।

ব্যাংকটি বলছে, বৈশ্বিক কফি সরবরাহ ভারসাম্য ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তে রূপ নিচ্ছে। ২০২১-২২ মৌসুমে বিশ্ববাজারে ৫১ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফির ঘাটতি ছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে বাজারে ১৭ লাখ ব্যাগ কফি উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন