অর্থনৈতিক মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে ডিজেলের বৈশ্বিক সংকট

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনা মহামারীর পর বাণিজ্যপ্রবাহে ব্যাপক প্রসার ডিসটিলেট জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক সংকটে জোগান দিয়েছে। আগামীতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার বা মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে সংকট।

শিল্পোৎপাদন, জাহাজীকরণ, পণ্য পরিবহন, খনিজ সম্পদ উত্তোলন এমনকি কৃষিপণ্য উৎপাদনে ডিজেল গ্যাস অয়েলসহ ডিসটিলেট জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার পাশাপাশি এসব জ্বালানির প্রাপ্যতা কমছে।

তথ্য বলছে, মহামারীর প্রভাব বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় ২০২১-২২ বছরে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা ব্যাপক গতিশীল হয়ে ওঠে। এর ফলে পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার চেয়েও বেশি চাহিদা দেখা দেয় ডিজেলসহ ডিসটিলেট জ্বালানির। ফলে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এশিয়ায় এসব জ্বালানির মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়।

এর ফলে সৃষ্ট সংকট মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পোৎপাদনসহ অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছে, পরিশোধন সক্ষমতা না বাড়ালে অর্থনীতিতে বড় আকারের মন্দা দেখা দিতে পারে।

রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ ডিসটিলেট রফতানিকারক। কিন্তু ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বয়কটে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দেশটির রফতানি। এর ফলে ডিজেলের প্রাপ্যতা আরো কমছে। দামের ওপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ তীব্র আকার ধারণ করছে।

তথ্য বলছে, গত মহামারীর প্রভাব শিথিল হওয়ায় বিমানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়। এর ফলে জেট জ্বালানির বাজারে সংকট তীব্র হতে শুরু করে। বিষয়টিও ডিজেলের সংকট বাড়াতে সহায়তা করেছে। কারণ যে পরিশোধন প্রক্রিয়া থেকে জেট জ্বালানি আসে, ঠিক একই প্রক্রিয়া থেকে আসে ডিজেল।

এদিকে ডিজেল সংকট গ্যাসোলিনের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কারণ পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো সংকট সামাল দিতে গ্যাসোলিন উৎপাদন সক্ষমতা কমিয়ে জেট জ্বালানি অন্যান্য ডিসটিলেট উৎপাদন বাড়াচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন