ভোমরা স্থলবন্দর

দশ মাসে ৫১ কোটি টাকার জিরা আমদানি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৫১ কোটি টাকার বেশি জিরা আমদানি হয়। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

আমদানি বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানান, দেশীয় বাজারে জিরার চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে সরবরাহ বাড়াতেই বিপুল পরিমাণ জিরা আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ভোমরা বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছিল হাজার ৪০৯ টন, যার মূল্য ২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে জিরা আমদানি হয়েছে হাজার ১৯৪ টন, যার মূল্য ৫১ কোটি ৮০ টাকা। সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

ভোমরা স্থলবন্দরে মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বণিক বার্তাকে জানান, দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়ায় জিরা আমদানি বেড়েছে। তার প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে তিন-চার ট্রাক জিরা আমদানি করছে। তাছাড়া অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতীয় জিরা আমদানিতে খরচ কম। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে জিরা আমদানি করছেন।

সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী আবুল কাসেম জানান, তার প্রতিষ্ঠানে পাকিস্তানি ইরানি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৭০-৪৮০ টাকা কেজিদরে। সেখানে ভারতীয় জিরা প্রতি কেজি ৩৬০-৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভারতীয় জিরার চাহিদা বেশি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন বণিক বার্তাকে জানান, মসলাপণ্যের মধ্যে জিরা আমদানিতে সরকারের উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব আয় হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে জিরা আমদানিতে ২৭ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন