বিজনেস ক্লাসের চাহিদা বেড়েছে এয়ারলাইনসগুলোর

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে এভিয়েশন খাত। তবে ভ্রমণ চাহিদা বাড়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে এয়ারলাইনসগুলো। ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপের (আইএজি) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বছর লাভের প্রত্যাশা করছে। মূলত বিজনেস ক্লাসের বুকিং বাড়ার কারণেই ব্যবসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখছে সংশ্লিষ্ট খাত। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

ব্যবসায়িক মিটিং কিংবা কাজের উদ্দেশ্যেই কেবল প্রিমিয়াম আসন বুক করেন না যাত্রীরা। টিইউআই বা বিএর মতো পর্যটন সংস্থাগুলো বলেছে, অনেক বিত্তবান ভ্রমণপিপাসুও তাদের ভোক্তা। প্রিমিয়াম আসনে যাতায়াতের প্রত্যাশা ধনিক শ্রেণীর পর্যটকদের। তবে কভিডকালীন ঘরে বসে থাকতেই বাধ্য হয়েছিলেন তারা। বর্তমানে কভিডজনিত বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ার ফলে ভ্রমণে আরো বেশি ব্যয় করতে আগ্রহী তারা।

অন্যদিকে মহামারী সংক্রমণপ্রবাহ কমার সঙ্গে কাজের তাগিদ বাড়ছে। যদিও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক মিটিংগুলোর ক্ষেত্রে এখনো মহামারীর সময়ের মতোই জুম মিটিংয়ের আয়োজন করছে। এর ভুক্তভোগী হচ্ছে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো। তবে বিশ্লেষকদের ভাষ্য, নতুন ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ করতে সরাসরি দেখা করে মিটিং করাটাই বেশি সুবিধাজনক। বিশেষ করে ছোট কিংবা মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন ভোক্তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে সশরীরে সাক্ষাতের প্রয়োজন রয়েছে।

তবে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলোর ব্যবসা পুনরুদ্ধারের জন্য একপক্ষীয়ভাবে শুধু বিজনেস ক্লাসের চাহিদাকে দায়ী করা যায় না। স্বল্প দূরত্বের যাত্রার জন্য ইজি জেটের চাহিদা রয়েছে ছোট মাঝারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে।

বিষয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী সিন ডয়েল বলেন, উড়োজাহাজ বুকিং করতে সব থেকে প্রথম এগিয়ে আসে ছোট মাঝারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এখন বুকিং করছে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং ফাইন্যান্স খাতগুলো সবচেয়ে বেশি বুকিং করছে। তিনি জানান, জানুয়ারি থেকে ব্যবসায়িক ভ্রমণ মার্চে আড়াই গুণ বেশি ছিল। বর্তমানে তা মহামারীপূর্ব সময়ের ৬৫-৭০ শতাংশে এসে পৌঁছেছে।

এদিকে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলোর পুরোপুরি ব্যবসা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে কিছু বাধা এখনো রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কভিডজনিত বিধিনিষেধ জটিলতার কারণে চীন, হংকং জাপানসহ কয়েকটি প্রধান এশীয় ব্যবসায়িক গন্তব্যগুলোর ফ্লাইট স্থগিতের আশঙ্কা।

তর্কাতীতভাবেই মহামারী ব্যবসায়িক ভ্রমণকে আরো বেশি পছন্দনীয় করে তুলেছে। মহামারীতে ঘরে বসেই কাজ করেন কর্মীরা। এতে দেখা যায় কর্মতত্পরতা আরো বাড়ে। ফলে কর্মী প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্যই তা লাভজনক। বর্তমানে মহামারীর প্রকোপ কমলেও প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিতেই অটুট থাকার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। এতে করে একই সঙ্গে ব্যবসায়িক ভ্রমণকালীন কিংবা বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায়ও অফিসের কাজের কোনো ক্ষতি হয় না। এতে লাভবান হচ্ছে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন