কভিড-১৯ মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সত্ত্বেও ভারতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে এফডিআই প্রবাহ ৮ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ দেশটির ইতিহাসে যেকোনো আর্থিক বছরের চেয়ে বেশি। খবর দ্য প্রিন্ট।
গত সাত বছরে ভারতে এফডিআই প্রবাহ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভারতে এফডিআই ছিল মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ডলার। ২০২১-২২ সালে এটি বেড়ে ৮ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে এফডিআইয়ের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। গত অর্থবছরের এফডিআই আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৬০ কোটি ডলার বেশি।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরের চেয়ে দেশটির এফডিআই প্রবাহ ২০ গুণ বেড়েছে। সে সময় এটি ছিল মাত্র ৪৩০ কোটি ডলার। দ্রুত বর্ধনশীল উৎপাদন খাত বিদেশী বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলেছে ভারতকে। উৎপাদন খাতে এফডিআই ইক্যুইটি প্রবাহ আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৩৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
ভারতে এফডিআই ইক্যুইটি প্রবাহে শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর। মোট এফডিআই ইক্যুইটি প্রবাহে দেশটির অবদান ২৭ শতাংশ। এরপরে ১৮ শতাংশ অবদান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় এবং ১৬ শতাংশ অবদান নিয়ে মরিশাস তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে গত অর্থবছর কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার বিভাগ সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে। মোট বিনিয়োগের ২৫ শতাংশই গেছে এ বিভাগে। এরপরে ১২ শতাংশ করে এফডিআই ইক্যুইটি পেয়েছে পরিষেবা এবং অটোমোবাইল শিল্প। ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজ্যভেদে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে কর্ণাটক। মোট এফডিআই ইক্যুইটির ৩৮ শতাংশ পেয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের রাজ্যটি। এরপরে ২৬ শতাংশ মহারাষ্ট্র ও ১৪ শতাংশ পেয়েছে দিল্লি।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গত আট বছরে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ ভারতের এফডিআই বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করেছে। বিভিন্ন প্রচেষ্টার ফলেই এফডিআই প্রবাহে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকার এফডিআই নীতি পর্যালোচনা এবং ভারতকে একটি আকর্ষণীয় ও বিনিয়োগবান্ধব করে তুলতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করে আসছে।
