ভারতে ধর্ষণ মামলায় ৭ বাংলাদেশীর যাবজ্জীবন

বণিক বার্তা অনলাইন

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশী এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কর্নাটক রাজ্যের রাজধানীর (বেঙ্গালুরু) বিশেষ আদালত-৫৪। রায়ে আরো চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ২০ বছর ও আরেকজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুইজনকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীন দেয়া হয়েছে ৯ মাসের কারাদণ্ড। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য একজন খালাস পেয়েছেন। তিনি মামলার সাক্ষী হিসেবেও ছিলেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল ১২ আসামিকে। এদের মধ্যে তিনজন নারীসহ ১১ আসামি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবাই বাংলাদেশী।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাতুল ইসলাম হৃদয় (ওরফে টিকটক হৃদয়), মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন। এ ছাড়া নারী আসামি তানিয়া খানকে ২০ বছর, নুসরাত ও কাজলকে ১ বছর করে। মোহাম্মদ জামাল নামের অপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত বছরের মে মাসে বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশী তরুণীকে যৌননির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে।

বেঙ্গালুরু পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) ভীমশঙ্কর গুলেদ বলেছেন, দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ বিশ্লেষণ, ইলেকট্রনিক প্রমাণ, মোবাইল ফরেনসিক, আঙুলের ছাপের প্রমাণ, ভয়েস স্যাম্পলিংয়ের মতো সব ধরনের বৈজ্ঞানিক সহায়তা নিয়ে দ্রুততিতে তদন্ত পরিচালনা করা হয়। মামলাটি রেকর্ডের সময় থেকে মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয়া হয়।

মামলা পরিচালনার জন্য কর্ণাটক সরকার বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর বীরান্না তিগাদি নিযুক্ত করে এবং এসিপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিশেষ ট্রায়াল মনিটরিং টিম গঠন করা হয়। আদালতের বিচারক মোট ৪৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেন এবং তিন মাসেরও কম সময়ে এই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন