আরিচার ১০ কিলোমিটার ভাটিতে পাটুরিয়া-দৌলতিয়ায় আরেকটি একমুখী সেতু তৈরি না করে বরং আরিচায় পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু এবং করিডর নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য হতে পারে মাইলফলক।
পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃঢ় প্রত্যয় ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পাল্টাচ্ছে।
করোনা মহামারীসহ নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাক সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি সম্মুখযাত্রায় অগ্রসরমাণ।
চলতি মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পর দেশের অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে—এমনটি আশা অভিজ্ঞ মহলের।
তবে এসব মেগা প্রকল্প শেষ হলে তারপর কি থেমে থাকবে এ অগ্রযাত্রা? এক কথায় উত্তর, না।
সরকার নিশ্চয়ই সেদিকে লক্ষ রেখে নতুন মহাপরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে।
তবে সরকারের এ দূরদর্শী পরিকল্পনার সঙ্গে ভাবনায় নিতে হবে যে দুটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারলে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের গতি ত্বরান্বিত করতে পারে।
যা আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি আরো ৩-৪ শতাংশ বেড়ে গিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যমাত্রাকে আরো এগিয়ে আনতে পারবে বলে আশা করা যায়।
প্রথম প্রস্তাব: আরিচায় পদ্মা ও যমুনার মিলিত স্থানে ইংরেজি ওয়াই অক্ষরের মতো পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী স্টিল কম্পোজিট সেতু নির্মাণ।
এর কারণ পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনসহ ভারী যানবাহন চলাচল ছাড়াও নদীর গভীরতা, সে াত ও গতি-প্রকৃতির কারণে এতটা গভীরতাসম্পন্ন পাইলিং করতে গিয়ে এ প্রকল্প ব্যয়বহুল হয়েছে।
জাজিরায় যে স্থানে পদ্মা সেতু হয়েছে, সেখানে একমুখী নদীর স্রোত ও বেগ বেশি।
তবে শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অবশেষে বাংলাদেশের উন্নয়ন ইতিহাসে মানুষের সুদীর্ঘ দিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ লাভ করছে।
পদ্মা সেতুর মাওয়া থেকে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার।
এর মধ্যবর্তী আরিচা উভয় সেতু থেকে কমবেশি ৫০-৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।
এখানে মিলিত হয়েছে পদ্মা ও যমুনা নদী।
এ স্থলে একটি ত্রিমুখী সেতু নির্মাণ করতে পারলে তা দেশের তিনটি ভূখণ্ডকে একত্র করে যোগাযোগ ইতিহাসে নতুন অধ্যায় তৈরি করতে পারে।
যেহেতু পদ্মা ও যমুনা সেতুতে রেল যোগাযোগের সুযোগ আছে, তাই আরিচায় প্রস্তাবিত পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতুটি কেবল বাস-ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ হালকা যানবাহন ও গ্যাস-বিদ্যুত্ সঞ্চালন লাইনসম্পন্ন চলাচল উপযোগী করে স্টিল কম্পোজিট সেতু নির্মাণে ব্যয় অনেক কম হবে।
এটা অনেকটা সাসপেনশন টাইপের করা যেতে পারে।
এ সেতুর নির্মাণে এমন একটি কল্পিত চিত্র সামনে নেয়া যায় তা হলো, আরিচা থেকে পদ্মা-যমুনার মিলিত প্রশস্ত অংশের সোজা তিন বা চার কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে সেখান থেকে বাঁয়ে চার কিলোমিটার রাজবাড়ীর অংশে এবং একইভাবে মধ্যভাগ থেকে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার ডানে ঈশ্বরদীর রাখালগাছি চরের অংশে গিয়ে শেষ হবে।
তাহলে সেতুটি হবে ওয়াই প্রকৃতির।
মাঝখানে ত্রিভুজ আকৃতির অংশ দিয়ে যেকোনো দিকে যানবাহনের গতি পরিবর্তন করা যাবে।
ধরা যাক, কোনো যানবাহন আরিচা থেকে রাজবাড়ীর পারে যাবে, সেখান থেকে যাবে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, মোংলার দিকে।
এক্ষেত্রে আরিচা হয়ে নদীর মাঝ বরাবর তিন-চার কিলোমিটার গিয়ে গাড়িটি বামে ঘুরে রাজবাড়ীর অংশে যেতে পারবে।
আবার রাজবাড়ী থেকে কোনো যানবাহন ঈশ্বরদীর পারে গিয়ে তা বামে টার্ন নিয়ে রাখালগাছি অংশে যেতে পারবে।
একইভাবে রাখালগাছি থেকে আরিচা অথবা রাজবাড়ী যেকোনো অভিমুখে টার্ন নেয়ার সুযোগ থাকছে।
অবশ্য সেটা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরের কথা।
তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়, সাগরের মধ্য দিয়ে চীন ২০-৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ধরনের সেতু নির্মাণ করে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপের মধ্যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ এ ধরনের সাসপেনশন টাইপের/ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করেছে।
তাছাড়া পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ শেষ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা এখন আরিচায় একটি ত্রিমুখী সেতু নির্মাণে অনেক সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশেষ করে এখানে একটি অনুকূল দিক হলো পদ্মা-যমুনার মিলিত স্থলে অনেক আগে থেকেই বালি ভরাট হয়ে অনেকটা জায়গা স্থিত হয়ে আছে।
পদ্মা সেতুর মতো এখানে পাইলিংয়ে এতটা গভীরতা যেমন প্রয়োজন হবে না, তেমনি তা অতটা জটিল হবে না—এমনটি ধারণা করছেন পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেই।
যাই হোক, এক্ষেত্রে প্রথমে আসে অর্থসংস্থানের প্রশ্ন।
ধরে নেয়া যায় জাইকা, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা কোনো বিদেশী বিনিয়োগ না পাওয়া গেলে অথবা আংশিক পাওয়া গেলে তাসহ এর অর্থের জোগান আসতে পারে উন্মুক্ত শেয়ার বিক্রির আহ্বানে।
এ প্রকল্পের কাজ চূড়ান্ত করে সম্ভাব্য শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে বিনিয়োগ উত্তোলন করা যায়।
দেশে এখন ১০, ২০ লাখ বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মতো হাজার হাজার সামর্থ্যবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত মনোবল ও দৃঢ় প্রত্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এটিই এখন বাঙালি জাতির যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণের বড় প্রেরণার উত্স।
ধরা যায়, এ প্রকল্পে সম্ভাব্য ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হলে তার পুরোটাই অথবা অর্ধেকটা দেশীয় শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে সংস্থান সম্ভব।
এছাড়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে এখান থেকে আসতে পারে বিনিয়োগের একটি বড় অংশ।
এছাড়া বিদেশে যারা কর্মরত, তাদের কাছেও অর্থলগ্নির আহ্বান করা যেতে পারে।
কারণ এ সেতুও হবে লাভজনক এবং তা থেকে দীর্ঘমেয়াদি রিটার্ন পাওয়া যাবে।
পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে কমপক্ষে এক লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান ছাড়াও অন্যান্য কর্মযজ্ঞ অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করবে।
দেশের ইস্পাত, লৌহ, সিমেন্ট কারখানা, পাথরসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো পণ্য উত্পাদন ও সরবরাহে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
এ সেতু দিয়ে দিন-রাতে কমপক্ষে ৮-১০ হাজার যানবাহন পারাপার হতে পারবে।
আশা করা যায়, জাইকা এ ধরনের প্রকল্পে সহায়তা দিতে পারে এ কারণে যে এখানে কেবল হালকা যানবাহন চলবে।
প্রসঙ্গত, ত্রিমুখী এ সেতুর নিচ দিয়ে যখন নৌযান চলাচল করবে তখন নদীর যে চ্যানেলে গভীরতা বেশি, সেতুর সে অংশ থাকবে সবুজ মার্কিং করা।
আর যে অংশে নাব্যতা নেই, সেখানে থাকবে লাল মার্কিং করা।
ফলে নৌযানচালক সবুজ সংকেত দেয়া স্থান দিয়েই নৌযান চালিয়ে যাবেন।
এছাড়া এখন আধুনিক সেন্সর সিস্টেম স্থাপন করে নৌযান চলাচল নির্বিঘ্ন করা যায়, যেখানে বর্ষাকালে সর্বোচ্চ জলসীমার সময় নৌযান সেতুর নিচ দিয়ে অতিক্রম করতে গিয়ে কোনো ঝুঁকি আছে কিনা তা ১০০ বা ২০০ মিটার আগে থেকেই জানান দিতে পারবে সেতুর স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা।
প্রস্তাবিত পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতুর মধ্যবর্তী যে ত্রিভুজ আকৃতির বাঁক পরিবর্তনের জায়গা থাকবে, তার মধ্যবর্তী স্থানে একটি পাঁচতারা হোটেল-মোটেল করা যেতে পারে।
যা নদীর ওপর নির্মিত হবে, যেখানে গতিপ্রবাহের কোনো ব্যঘাত সৃষ্টি করবে না।
এটি বর্ষাকালে পানিপ্রবাহের সর্বোচ্চ সীমার ৫-১০ মিটার ওপর নির্মিত হবে স্টিলফিকচার টাইপ।
৬-১০ তলাবিশিষ্ট এমন একটি হোটেল নির্মাণ করা গেলে তা হতে পারে দেশের অন্যতম একটি দর্শনীয় এবং বিশ্বের অন্যতম ভাসমান হোটেল।
পদ্মা-যমুনার বুকে পারাপারের সময় অথবা বিনোদনে বিশাল নদীর ওপর এমন একটি দর্শনীয় স্থান তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করা যেতে পারে।
যাতায়াতে বিরতির সময় কাটানো এবং নাশতা বা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলে সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষ ক্ষণিকের জন্য হলেও এখানে বিশ্রাম নিতে চাইবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাব: পদ্মা-যমুনা করিডর উন্নয়ন প্রকল্প।
এমন একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়।
পদ্মা সেতুর পূর্ব তীর মাওয়া থেকে পদ্মা নদীর পূর্ব তীর হয়ে আরিচা এবং একইভাবে আরিচা থেকে যমুনা নদীর দক্ষিণ তীর হয়ে যমুনা সেতু পর্যন্ত মোট কমবেশি ১১০ কিলোমিটার তীরবর্তী যোগাযোগ অবকাঠামো তথা মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ।
এটা দুটি ভাগে ভাগ করে করা সম্ভব।
একটি মাওয়া থেকে আরিচা ৪৫-৫০ কিলোমিটার এবং আরিচা থেকে যমুনা সেতু ৫৫-৬০ কিলোমিটার।
এ মহাসড়ক নির্মাণ করা হলে দেশের ইতিহাসে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
অন্যদিকে এ দুটি বড় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক প্রকল্পসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করে রাজধানী ঢাকার ওপর চাপ কমানো সম্ভব।
ঢাকার কাছাকাছি শিল্প-কলকারখানা স্থাপন বন্ধ করে পরিবেশ ঝুঁকি কমানো যাবে।
কোনো ব্যক্তিকে যমুনা সেতুর এপার থেকে যশোর-খুলনা বা ফরিদপুরে আসতে হলে তাকে এখন সাভার বা ঢাকা ঘুরে আসতে হয়।
এতে অতিরিক্ত ১৪০-১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।
কিন্তু যমুনা সেতু থেকে যমুনা নদীর তীর হয়ে ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বের আরিচা পর্যন্ত মহাসড়ক হলে ১০০ কিলোমিটার পথ কম হবে।
আবার পদ্মা সেতুর মাওয়া থেকে উত্তরে আরিচা পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীর দিয়ে একটি মহাসড়ক হলে তাও অনুরূপ বিকল্প যানবাহন পারাপার বা চলাচল করতে পারবে।
পদ্মা নদীর তীরবর্তী এ এলাকায়ও নতুন শিল্প অবকাঠামো নির্মাণসহ যোগাযোগ সহজসাধ্য হতে পারে।
আবার কোনো কারণে পদ্মা সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে সাময়িক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে বিকল্প এ দুই নদী তীরবর্তী মহাসড়ক ও পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু সে চাপ সামলাতে পারবে।
বিকল্প সেতু ও পথ হিসেবে উভয় বিবেচনায় তা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পদ্মা ও যমুনা করিডরের এ নদী-তীরবর্তী মহাসড়ক পাল্টে দিতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক।
দেশের তিনটি ভূখণ্ডের নিবিড় যোগাযোগ বন্ধনে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকার ওপর নানামুখী চাপ বহুলাংশে কমতে পারে।
পদ্মা ও যমুনার তীর দিয়ে এ করিডর মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে এর আর্থসামাজিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব বিবেচনায় আশা করা যায় এ প্রকল্পে বিদেশী সহায়তা পাওয়া যাবে, বিশেষ করে জাইকা বা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের।
প্রয়োজনে এটিও নিজস্ব অর্থে নির্মাণ সম্ভব।
এই ১১০ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে সর্বোচ্চ ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে, যা সরকারের পক্ষেই জোগান দেয়া সম্ভব এবং এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিদেশের মতো টোল আদায় করা হলে তা বিনিয়োগ রিটার্ন আসবে ২০-২৫ বছরের মধ্যেই।
প্রস্তাবিত পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু ও পদ্মা-যমুনা করিডর মহাসড়ক নির্মিত হলে দেশের তিনটি ভূখণ্ডকে তা নিবিড়ভাবে যুক্ত করে সারা দেশ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
একই সঙ্গে তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে ৩-৪ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হতে পারে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত দূরদর্শী ও বৃহত্তর পরিসরে চিন্তাভাবনা করছেন।
দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনায় এ দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।
এ নিয়ে চিন্তাভাবনা বা উদ্যোগ গ্রহণের এখনই সময়।
তাহলে তা ২০২৫-২৭ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব।
দেশের মানুষ এ স্বপ্ন ছুঁতে চায়।
আর এর মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালে রয়েছে, তা আরো এগিয়ে আনতে সক্ষম হবে এমনটি প্রত্যাশা করা যায়।
এস এম আতিয়ার রহমান: পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়