১১ দেশে ৮০ জন মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত: ডব্লিউএইচও

বণিক বার্তা অনলাইন

কভিডের প্রাদুর্ভাব কমতে না কমতেই পশ্চিমা দেশগুলোতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। এরই মধ্যে ১১টি দেশে প্রায় ৮০ জন মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শনাক্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। আজ শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসি।

বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, সাম্প্রতিক সংক্রমণটি এখন পর্যন্ত ১১টি দেশে পাওয়া গেছে। এ প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক, কারণ এমন কিছু দেশে রোগটি প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে যা আগে দেখা যায়নি। 

তারা আক্রান্ত দেশ এবং অন্যদের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যেসব মানুষ আক্রান্ত হতে পারে তাদের খোঁজ রাখা এবং সহায়তা দেয়ার জন্য রোগটির ওপর নজরদারি চলছে।

একই সঙ্গে আক্রান্তদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে সংস্থাটি বলেছে, আক্রান্তদের সেবা পেতে বাধার কারণে রোগটির আরো বিস্তার ছড়াতে পারে।

এদিকে আরো ৫০ জন সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স রোগীকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তবে কোন কোন দেশে এ রোগীদের সন্দেহ করা হচ্ছে তা উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দুর্গম অংশে মাঙ্কিপক্স তেমন বিরল ঘটনা নয়।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, মাঙ্কিপক্স বিরল ভাইরাসজনিত সংক্রমাক রোগ। রোগটির উপসর্গগুলো সাধারণত মৃদু হয়ে থাকে। বেশিরভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন। ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে খুব সহজে ছড়ায় না এবং ব্যাপক মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণের আশঙ্কা কম বলেও জানিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থাটি।

মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন নেই। তবে রোগের উপসর্গগুলোর সঙ্গে মিল থাকায় স্মলপক্সের টিকায় এই ভাইরাস থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন