আলোকপাত

ব্লু-ইকোনমির গতিসঞ্চারে প্রয়োজন সমুদ্রসম্পদ মন্ত্রণালয়

ড. মইনুল ইসলাম

প্রতিবেশী মিয়ানমার ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে কয়েক দশকের বিরোধ অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা করে ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল অন অব দ্য সি (ইটলস) এবং ২০১৪ সালে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালত থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আমরা অনেকেই জানি না যে, ইটলসে মিয়ানমারের পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিল, বাঘা বাঘা সব আইনবিদ তারা মিয়ানমারের পুরো মামলা পরিচালনা করেছেন। সত্ত্বেও মিয়ানমার ইটলসের ২০১২ সালের ঐতিহাসিক রায় তাদের পক্ষে নিতে পারেনি। এরপর ভারত সমঝোতার মাধ্যমে সমুদ্রসীমার ভাগ-বাটোয়ারা করার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের -সংক্রান্ত নীতিনির্ধারকরা ফাঁদে ধরা না দিয়ে বিষয়টার সমাধানের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক আদালতে রেখে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যেখানে বাঘা বাঘা আইনবিদের যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে ২০১৪ সালে আদালত বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেয়। ভারতীয় যুক্তি মানলে বাংলাদেশ সি-লকড হয়ে যেত, যার মানে কন্টিনেন্টাল শেলফ অতিক্রম করে ভারত মহাসাগরের সীমানায় প্রবেশের জন্য বাংলাদেশকে ভারত মিয়ানমারের করুণার ওপর নির্ভরশীল হতে হতো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমার ওপর নিরঙ্কুশ অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন) প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছে। ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের জন্য ইতিহাস চিরদিন শেখ হাসিনার সরকারকে কৃতিত্ব দিয়ে যাবে। এটা শুধু বিশাল সমুদ্রসীমার ওপর অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব স্থাপনের কৃতিত্ব নয়, বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগরের একটি বিশাল এলাকার সমুদ্রসম্পদ আহরণের স্বর্ণ সুযোগ উপহার দিয়েছে সমুদ্র বিজয়। বাংলাদেশের স্থলভাগের আয়তন যেখানে মাত্র লাখ ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটারের সামান্য বেশি, সেখানে লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমার ওপর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ অর্জন যে বাংলাদেশের জন্য কত বড় সৌভাগ্য তা দেশবাসী সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছে কিনা জানি না! মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের ১০ বছর এবং ভারতের বিরুদ্ধে বিজয়ের আট বছর অতিক্রান্ত হলেও সরকারের কর্তাব্যক্তিরা মহাসুযোগের সত্যিকার তাত্পর্য উপলব্ধি করে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে বিশাল সমুদ্রসীমা থেকে সম্পদ আহরণ জোরদার করাকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন কিনা তা নিয়েই আমি সন্দিগ্ধ।

এরই মধ্যে অবশ্য একটি ব্লু-ইকোনমি সেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও আমাদের প্রস্তুতি এখনো শেষ হলো না কেন সেটা বোধগম্য নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ব্লু-ইকোনমি পরিচালনা নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের টানাপড়েন রশি টানাটানি বিলম্বের প্রধান কারণ। সমুদ্র ব্লকগুলোতে তেল-গ্যাস আহরণের জন্য বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানিকে প্রডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট-এর ভিত্তিতে ব্লকের ইজারা প্রদানের ব্যাপারে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও নাকি থমকে আছে বিভিন্ন শক্তিধর দেশের লবিং থেকে উদ্ভূত টানাপড়েনের কারণে। কিন্তু বিলম্ব দেশের অপূরণীয় ক্ষতি ঘটিয়ে চলেছে। নিচের বিষয়গুলো একটু গভীরভাবে বিবেচনা করা যাক:

. বাংলাদেশ মিয়ানমারের সমুদ্রসীমার অদূরে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণাধীন সমুদ্রে ২০০৪ সালে প্রায় ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। ওই গ্যাস চীনে রফতানি করছে মিয়ানমার। ভারত গ্যাসের একটা অংশ পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে নিজেদের দেশে আমদানির জন্য প্রকল্প প্রণয়ন করে বাংলাদেশকে রাজি করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল ২০০১-০৬ মেয়াদের বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময়। প্রস্তাবিত ওই চুক্তিতে এমন শর্তও রাখা হয়েছিল যে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে যাওয়া পাইপলাইনের হুইলিং চার্জ তো বাংলাদেশ পাবেই, তদুপরি বাংলাদেশের প্রয়োজন হলে ওই গ্যাসের একটা অংশ কিনে নিতে পারবে। জোট সরকারের অন্ধ ভারতবিরোধিতার কারণে বাংলাদেশ ওই রকম একটা লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। দেড় দশক ধরে বাংলাদেশ যে ক্রমবর্ধমান গ্যাস সংকটে জর্জরিত হচ্ছে সেটা একেবারেই হতো না প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলে! কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের অন্ধ ভারত বিদ্বেষ বাংলাদেশের জনগণকে প্রয়োজনীয় গ্যাস পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। এখন ছয়-সাত গুণ দাম দিয়ে এলএনজি আমদানি করে আমরা ওই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে চলেছি! এরপর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ওই অঞ্চলের নিকটবর্তী বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় একটি ব্লক দক্ষিণ কোরিয়ার দাইউ কোম্পানিকে তেল-গ্যাস আহরণের জন্য ইজারা দিয়েছিল। দাইউ যথাযথ প্রস্তুতি সরঞ্জাম নিয়ে ওই অঞ্চলে তেল-গ্যাস এক্সপ্লোরেশন চালানোর জন্য কয়েকটি জাহাজ নিয়ে উপস্থিত হলে সেখানে মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের বাধা দেয় এবং ফিরে আসতে বাধ্য করে। মিয়ানমারের যুক্তি ছিল, ওই অঞ্চলের সমুদ্রসীমার মালিক মিয়ানমার, বাংলাদেশের কোনো অধিকার নেই ওখানে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের। ইটলসের রায়ে ওই বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের মালিকানা ২০১২ সালে বাংলাদেশ পেয়ে গেছে, কিন্তু গত ১০ বছরেও ওখানে এখনো কোন নতুন এক্সপ্লোরেশন শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো ইজারাদার কোম্পানি। বিলম্বের কারণে মিয়ানমার যে সমুদ্রাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ গ্যাস তুলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে সে গ্যাস তো বাংলাদেশও পেতে পারত। কারণ সন্নিহিত অঞ্চলগুলোর ভূগর্ভে গ্যাসের মজুদ তো শুধু মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণাধীন সমুদ্রসীমায় সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় গ্যাস পাওয়া যাবেই, এটা প্রায় নিশ্চিত মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। হয়তো বিলম্বের কারণে কয়েক টিসিএফ গ্যাস থেকে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ!

. বাংলাদেশের লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমায় প্রায় ২৫টি ব্লক ইজারা দেয়ার সুযোগ রয়েছে তেল-গ্যাসসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান আহরণের জন্য, কিন্তু গত ১০ বছরে ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। ব্লকগুলো পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শক্তিধর দেশের বহুজাতিক করপোরেশনগুলো পর্দার আড়ালে প্রচণ্ড লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যায়। কিন্তু আমরা চাই, দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনার সাহসী সঠিক সিদ্ধান্ত। ইদানীং গুটিকয়েক ব্লকে অনুসন্ধান শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও ১০ বছরে সরকারের নীতিনির্ধারকরা বাকি ব্লকগুলোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পারাটা বড়ই রহস্যজনক!

. ২৫ জুলাই ২০১৮ তারিখের পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছিল যে গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণের জন্য সরকার ১৬টি ফার্মকে অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহাগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নিতে পাঁচ বছর সময় লাগল কেন? এর জন্য তো এক বছরও লাগার কোনো যুক্তি নেই! গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণে এখন যে অত্যাধুনিক ফ্যাক্টরি শিপ ব্যবহূত হয় সেগুলো ক্রয় করে পরিচালনার ক্ষমতা এখন বাংলাদেশের কয়েক ডজন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। এসব ফ্যাক্টরি শিপে মাছ ধরা থেকে শুরু করে মাছ প্রসেসিং করে রফতানির জন্য ক্যানিং পর্যন্ত অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা থাকে, যাতে এক এক ট্রিপে মাসাধিককালও জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যথাসময়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে এত দিনে বাংলাদেশ টুনা মাছ রফতানিতে একটা উল্লেখযোগ্য দেশের মর্যাদায় হয়তো উন্নীত হয়ে যেত। কারণ বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড টুনা মাছের একটা সমৃদ্ধ বিচরণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। ওই অঞ্চলে এখন বাংলাদেশের আইনি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি একটি খবর বেরিয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ আদৌ লাভজনক হবে কিনা সেটা নিয়েই নাকি সন্দেহ কাটছে না। যথাযথ সম্ভাব্যতা জরিপ চালিয়ে সন্দেহ নিরসন করতে এত বছর তো লাগার কথা নয়! গত চার বছরে সম্পর্কে আর কিছুই শোনা যায়নি।

. সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে অনেক দূর অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল এবং বেশ কয়েক বছর আগে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপারে ফিজিবিলিটি স্টাডিও সম্পন্ন করা হয়েছিল। গভীর সমুদ্রবন্দরটি আঞ্চলিকভাবে প্রধানত বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স নামে খ্যাত সাত রাজ্য আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, মণিপুর, নাগাল্যান্ড মিজোরাম, নেপাল, ভুটান, চীনের ইউয়ান প্রদেশ এবং মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কিছু প্রদেশ কর্তৃক ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর জন্য বাংলাদেশ, চীন, ভারত মিয়ানমার মিলে বিসিআইএম ইকোনমিক করিডোর (যেটিকে কুনমিং ইনিশিয়েটিভ বলা হয়) গঠনের ব্যাপারেও চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল। কুনমিং ইনিশিয়েটিভ আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। এর কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে সাড়া দিয়ে চীন সোনাদিয়া বন্দরে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে ওঠে। ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয় এবং আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে যখন চীন সফরে গেলেন তখন একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে চুক্তিটি হয়নি। আমার মতে, ব্লু-ইকোনমির সুফল পাওয়ার জন্য সোনাদিয়াকে -সম্পর্কিত নানা ডাইমেনশনের কর্মযজ্ঞ পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা দরকার।

. ভারত বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে জাতিসংঘে ২০২০ সালে একটি আপত্তি উত্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে তারা কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকাকে ভারতের অর্থনৈতিক জোনে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালে ওই আপত্তি সম্পর্কে বাংলাদেশের ব্যাখ্যা জাতিসংঘের কাছে পেশ করেছে। বিষয়টি এখন জাতিসংঘের বিচারাধীন। ঘটনা থেকে প্রমাণ মিলছে, সমুদ্রসীমা সম্পর্কিত ২০১৪ সালের আন্তর্জাতিক আদালতের রায় বিতর্কিত করার প্রয়াস ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

. করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল এলএনজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। ফলে বর্ধিত আমদানি ব্যয়ের ধাক্কায় বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্য এবং ব্যালান্স অব পেমেন্টসের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে বড়সড় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে তেল গ্যাস অনুসন্ধানকে প্রাধান্য দিয়ে ব্লু-ইকোনমির প্রতি যথাযথ অগ্রাধিকার প্রদান এখন সময়ের প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে।

আমার সুস্পষ্ট দাবি, মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতার রশি টানাটানি সমস্যা নিরসনের জন্য সরকার একটি স্বতন্ত্র সমুদ্রসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করুক। শুধু একটি ব্লু-ইকোনমি সেল এত বড় মহাযজ্ঞ সামাল দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে রাখা হোক।

 

. মইনুল ইসলাম: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন