গত মাসে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় আবারো লকডাউন ঘোষণা করা হয় চীনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে। ফলে শহরটির কারখানাগুলোর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এতে সাংহাই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। খবর রয়টার্স।
চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে সাংহাইয়ের কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। মার্চে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১১ সালের পর আগের মাসের তুলনায় সর্বনিম্ন উৎপাদন ছিল এ বছরের এপ্রিলে।
টেসলা ও সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কারাখানা সাংহাইয়ে অবস্থিত। চীনের প্রধান প্রধান অটোমোবাইলের সরঞ্জাম উৎপাদনের ৩০ শতাংশ হয় শহরটিতে। পাশাপাশি চিপ তৈরি সক্ষমতার ৪০ শতাংশও হয় সাংহাইয়ে।
বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের হার কিছুটা কমায় ২ কোটি ৫০ লাখ অধিবাসীর শহরটির জনজীবন আবারো স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় চীনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে ইউরোপিয়ান চেম্বারস অব কমার্স ইন চায়না জানায়, আগামী মাসে চীনের লকডাউন তুলে নেয়া হলেও নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ প্রবাহ আবারো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বিদেশ ভ্রমণ অনিশ্চিত হতে পারে চীনাদের জন্য।
এদিকে এপ্রিলে সাংহাইয়ের খুচরা বিক্রি কমেছে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এর আগে ২০১১ সালে রেকর্ড পরিমাণ সর্বনিম্ন বিক্রি ছিল শহরটিতে। ওই বছর সাংহাইয়ের খুচরা বিক্রি ১১ দশমিক ১ শতাংশ কমে।
