চট্টগ্রাম টেস্ট

দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে হতাশ মুমিনুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শ্রীলংকার সঙ্গে চট্টগ্রামের মাটিতে এ নিয়ে শেষ তিনটি টেস্টে ড্র করল বাংলাদেশ। কিছুটা জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে ড্রয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্বাগতিকদের। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ৩৯৭ রান, বাংলাদেশ করে ৪৬৫ রান। তাতে ৬৮ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। আজ শেষ দিন দুর্দান্ত কিছু করতে পারলে জয়ের একটা সুযোগ নিতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু তার কিছুই ঘটেনি। সারাদিনে বাংলাদেশ উইকেট নিতে পেরেছে মাত্র ৪টি। ৬ উইকেটে ২৬০ রান করে দিন পার করে দেয় শ্রীলংকা। নিষ্প্রাণ এই ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলনায়ক মুমিনুল হক।

 

প্রথম সেশনে কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে সুযোগের পথে রেখেছিলেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় সেশনে দিমুথ করুনারত্নে (১৩৮ বলে ৫২ রান) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৬০ বলে ৩৩ রান) ফেরালেও একটু দেরি হয়ে যায়। আর তৃতীয় সেশন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন নিরোশান ডিকবেলা (৯৬ বলে ৬১ রান) ও দিনেশ চান্দিমাল (১৩৫ বলে ৩৯ রান) এ চারটি ইনিংসই লংকানদের ড্র করতে সাহায্য করে।

 

তবে আক্ষেপ বাড়িয়েছে একাধিক ক্যাচ মিসের ঘটনা। ক্যাচগুলো তালুবন্দি করতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল ভিন্নও হতে পারত। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় সেশনে ইনিংসের ৫০তম ওভারে একবার জীবন পান ধনঞ্জয়া। লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বল মাটিতে রাখতে পারেননি, সেটি মিড উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সামান্য সামনে পড়ে। বল হাতে জমালেও আগেই তা মাটি স্পর্শ করায় হয়নি ক্যাচ। সাকিবের করা ইনিংসের ৬৩তম ওভারে শেষ বলটি লেগ সাইডে খেলেন ডিকবেলা। তার ব্যাট থেকে বল যায় লেগ গালিতে। কিন্তু একটুর জন্য হয়নি ক্যাচ। সামনে নুইয়ে বল হাতে জমান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু বল একটু মাটিতে লেগে যায়।

 

এর বাইরে হাফ চান্স এসেছিল বেশ কয়েকটি। ধনাঞ্জয়াকে ফেরানোর পরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান ডিকবেলার উইকেট তুলে নিতে পারতেন সাকিব। তার নেয়া জোরালো শট বেরিয়ে যায় তাইজুলের হাত ফসকে। পরে ৯৬ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থেকেই তিনিই হতাশ করেন বাংলাদেশকে।

 

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক তাই বললেন, আমাদের ভালো কিছু করতে হলে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে সবসময় উন্নতি হরতে হবে।

 

দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ইনিংস কিছুটা হতাশাজনক ছিল। তবে সাকিব দুটি ইনিংসেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। আমরা নিশ্চিতভাবে শরিফুলকে মিস করেছি, তবে তাকে কভার করতে পেরেছি। সাকিবের পাশাপাশি, তাইজুল জানেন তার ভূমিকা কী ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটি তিনি দুর্দান্ত ভাবে করেছেন।

 

শ্রীলংকান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে বলেছেন, আপনি যদি প্রথম ইনিংস নেন, তাহলে আমরা আরো ভালো করতে পারতাম। আমাদের আরো বড় স্কোর করা উচিত ছিল, দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা করতে পারিনি। কিন্তু বোলারদের ধন্যবাদ, এই গরমের মাঝেও দুই ফাস্ট বোলার দারুণ করেছে। স্পিনাররা ভালো করেছিল কিন্তু ধীর গতির উইকেটে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা অবশ্যই এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন