কাতার বিশ্বকাপ

শ্রমিকদের জন্য ৪৪ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি অ্যামনেস্টির

ক্রীড়া ডেস্ক

এ বছরের ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এজন্য স্টেডিয়াম, বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট নির্মাণসহ যাবতীয় কাজে অভিবাসী শ্রমিকরাই কাজ করেছেন সামনে থেকে। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতিকালে কাতারের বিরুদ্ধে অভিবাসী শ্রমিক নিপীড়নের অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

 

এবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (এআই) ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছে এজন্য  ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতিকালেমানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হচ্ছে ৪৪ কোটি ডলার। ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনাফান্তিনোকে এক চিঠির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ ও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ভবিষ্যতে আয়োজক দেশটির (কাতার) সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

 

অ্যামনেস্টি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শ্রমিকদের সুরক্ষায় কোনো উন্নতি না রেখেই কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক করেছিল ফিফা। ২০১০ সাল থেকে সেখানে শ্রম সুরক্ষা না রেখেই কাজ করানো হচ্ছে। কর্মী ঝুঁকির বিষয়টি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার কয়েক হাজার অভিবাসী শ্রমিকের প্রতিকারের জন্য ফিফার অন্তত ৪৪ কোটি ডলার বরাদ্দ করা উচিত। যা বিশ্বকাপের মোট পুরস্কারের সমান।

 

অ্যামনেস্টির অভিযোগ, অবকাঠামো নির্মাণে সেখানে অসংখ্য অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শ্রম সুরক্ষায় বাড়তি নজর দেয়নি, বেতন কেটে রাখা, কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য করেছে শ্রমিকদের।

 

কাতার অবশ্য হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিককে শোষণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 

অ্যামনেস্টির চিঠির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিয়েছে ফিফা। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ফিফা আয়োজক কমিটির সঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মীকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।

 

যদিও এর আগে ফিফা সভাপতি দাবি করেছিল, সেখানে মাত্র দুই থেকে তিন জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

 

উদাহরণস্বরূপ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঠিকাদারের দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অতিরিক্ত ৫.৭ মিলিয়ন ডলারসহ মোট ২২.৬ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট পেয়েছেন ফিফা বিশ্বকাপ ও নন-ফিফা বিশ্বকাপ উভয় কর্মী। রয়টার্স

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন